প্রশ্নপত্র ফাঁস করে যেভাবে কোটিপতি হয়েছেন তারা
সিআইডির অর্গানাইজড টিমের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম আজ(বৃহস্পতিবার) সিআইডির সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
বিষয়টি নিয়ে মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, গত বছরের ১৯ অক্টোবর গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি হলে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ডিজিটাল জালিয়াতি চক্র গ্রেপ্তার করতে অভিযান হয়। পরের দিন শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়। এরপর নাটোরের ক্রীড়া কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান এছামীসহ এ চক্রের ২৮ জনকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে আগের রাতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মূল উৎপাটন করা হয়।
তিনি আরও জানান, ভর্তি কিংবা নিয়োগ পরীক্ষায় দুইভাবে জালিয়াতি হয়। একটি চক্র আগের রাতে প্রেস থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস করত। আরেকটি চক্র পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিট আগে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র নিয়ে দ্রুত তা সমাধান করে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীকে সরবরাহ করত।
গ্রেপ্তারকৃত মধ্যে রয়েছে, অলিপ কুমার বিশ্বাস, মোস্তফা কামাল, ইব্রাহিম, আয়ূব আলী বাঁধন, গোলাম মোহাম্মদ বাবুল, আনোয়ার হোসেন মুজমদার, নূরুল ইসলাম, হোসনে আরা বেগম, হাসমত আলী।
এদের মধ্যে জালিয়াতি চক্রের হোতা অলিপ কুমার বিশ্বাস বিকেএসপি’র সহকারী পরিচালক, মোস্তফা কামাল বিএডিসির সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ইব্রাহিম ৩৬ তম বিসিএসে নন ক্যাডার পদে সরকারি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত, আয়ূব আলী বাঁধন ৩৮ তম বিসিএসের প্রিলিতে উত্তীর্ণ।
সিআইডির কাছে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে ৩৬ তম বিসিএসে নন ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়া ইব্রাহিম জানান, ৩৬ লাখ টাকা দামের গাড়িতে চলাচল করতেন। খুলনার মুজগুন্নী এলাকায় সাড়ে ছয় শতাংশ জমির উপরে চারতলা ভবন নির্মাণ করেছেন। নড়াইলে তৈরি করেছে ডুপ্লেক্স বাড়ি। এছাড়াও অবৈধ মানিএক্সচেঞ্জের ব্যবসাও করতেন।