দেশপ্রেমিক তামিমের ‘আত্মত্যাগ’
তারপরও শঙ্কা ছিল, সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ড্যাশিং ওপেনারের নামা নিয়ে। এছাড়া ড্রেসিংরুমের ফিসফিসানি আর আকাশে-বাতাসে ছড়ানো গুঞ্জনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দেশপ্রেমিক খান সাহেব জানিয়ে দিলেন, ‘আমি খেলছি।’ হ্যাঁ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণীয় ম্যাচে খেলেছেন তিনি। টিকে ছিলেন দীর্ঘক্ষণ। চোট নিয়েই হাঁকিয়েছেন ক্যারিয়ারের ২১তম সেঞ্চুরি এবং জিতিয়েছেন দলকে।
জানা যায়, সেঞ্চুরির খানিক আগে ব্যথাটা প্রায় অসহনীয় পর্যায়ে চলে গিয়েছিল তামিমের। তবুও হতোদ্যম হননি। ফিরেছেন সেঞ্চুরি করে। সব পাওয়ার ম্যাচে তামিমকে বড় ত্যাগই স্বীকার করতে হয়েছে। শুধু ক্যারিবীয় বোলারদের চ্যালেঞ্জ নিতে হয়নি তাকে, লড়তে হয়েছে চোটের সঙ্গে। দুর্দান্ত জয়ের আনন্দে ব্যথার যাতনা উপশম হয়েছে অনেকটাই, ম্যাচ শেষে তামিমের হাসিমুখ দেখে তা বোঝা যাচ্ছিল।
তামিমের সবচেয়ে ভালো লাগছে, টেস্ট সিরিজ বাজেভাবে হারের পর দলের ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারটি, ‘এটা অনেক প্রশান্তির। অনেক দিন পর একটা সিরিজ জিতলাম। যেভাবে শুরু করেছিলাম, যেভাবে টেস্ট সিরিজটা খেলেছি, আমাদের খুবই দরকার ছিল ওয়ানডে সিরিজ জেতা। টেস্টে খারাপ খেলার পর প্রথম ম্যাচে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। দ্বিতীয় ম্যাচটা জেতা উচিত ছিল। হয়নি। এই ম্যাচটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সবচেয়ে ভালো লেগেছে, কেউ আশা ছাড়েনি। সবাই বিশ্বাস করেছে, আমরা জিততে পারি। ছোট মাঠ, ওদের পক্ষে যাওয়ার সুযোগ ছিল। তাদের সবাই পাওয়ার হিটার। এ সব চিন্তা করে আমার কাছে মনে হয়, সিরিজটা আমাদের অনেক বড় সাফল্য।’
প্রসঙ্গত, ওয়ানডে সিরিজে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তামিম ইকবাল। তিন ম্যাচে ২৮৭ রান করেছেন তিনি। খেলেছেন ১৩০*, ৫৪ ও ১০৩—রানের তিনটি চমৎকার ইনিংস।