মুশফিকের জন্য এ কেমন অদ্ভুত নিয়ম করলো আইসিসি
বাংলাদেশের ইনিংসের ৪২.৩ ওভারের ঘটনা। দেবেন্দ্র বিশুর বলে রিভার্স সুইপ করেছিলেন মুশফিক।বল পেরিয়ে যায় সীমানা। সাদা চোখে মনে হয়েছে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। কিন্তু ক্যারিবীয়দের লেগ বিফোরের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে রিভিউ আবেদন করেন মুশফিক। টিভি আম্পায়ার দেখেন, বলটা তার ব্যাটে লেগেই চার হয়ে গেছে। এরপরেই যা ঘটল, সেটা প্রায় অবিশ্বাস্য।
মুশফিকের ব্যাটে লেগে বল সীমানার বাইরে গেলেও সেটাকে বাউন্ডারি হিসেবে ঘোষণা করেননি আম্পায়ার! মানে চার রান থেকে বঞ্চিত হয়েছে ৩ রানে ম্যাচ হেরে যাওয়া বাংলাদেশ! এমনিতেই মাশরাফির দল শেষ ওভারে ৮ রান তুলতে পারেনি। তার মধ্যে রান বাতিল যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। কিন্তু কেন এই চারটি মূল্যবান রান বাতিল হয়ে গেল? এর কারণ অনুসন্ধান করতে গেলে আইসিসির একটি অদ্ভুতুরে নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে।
আইসিসির আইনের ২৩ নং ধারার ১ এর তৃতীয় উপধারায় আছে, আম্পায়ার আউট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বলটি ডেড হয়ে যাবে। অর্থাৎ তখন ওই ডেলিভারি থেকে ব্যাটসম্যান কোনো রান পাবেন না। মুশফিকের ক্ষেত্রেও ঠিক সেটাই ঘটেছে। প্রথম সিদ্ধান্তটি আউট থাকায় ওই ৪ রান আর যোগ হয়নি। কিন্তু রিভিউয়ের মাধ্যমে ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হলে কী করা হবে? বিস্ময়কর হলেও সত্যি যে, এ ব্যাপারে আইসিসির আইনে কিছুই লেখা নেই!
এর আগে ২০১৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ক্যান্ডিতে রান তাড়া করছিল শ্রীলঙ্কা। মাহেলা জয়াবর্ধনে সঙ্গে এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল। কিংবদন্তি জয়াবর্ধনের প্যাডে বল লেগে সীমানার বাইরে চলে যায়। লেগ বিফোর উইকেটের আবেদন হয়।
আম্পায়ারও সাড়া দেন। কিন্তু জয়াবর্ধনে রিভিউ নিলে দেখা যায়, সেটি আউট নয়। কিন্তু ওই চার রান আর যোগ হয়নি শ্রীলঙ্কার স্কোরবোর্ডে। ম্যাচটি লঙ্কানরা জিতে যাওয়ায় খুব একটা সাড়াশব্দ হয়নি। কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের হলো, গত ৪ বছরেও এই আইনটি হালনাগাদ করতে পারেনি আইসিসি। এই আইন নিয়ে প্রশ্ন ওঠা এখন স্বাভাবিক।