ফেসবুকে পোস্টের জের উত্তেজনা চলছে, ১৪৪ ধারা জারি
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে বসিরহাট, বাদুড়িয়া, দেগঙ্গা, হাড়োয়াসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কেবল টিভির সংযোগ ও ইন্টারনেট পরিষেবা। সংবাদমাধ্যমসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় যাতে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এলাকায় শান্তি ফেরাতে স্থানীয় বুথে বুথে শান্তি বাহিনী তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার সকালেও বাদুড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্ধ রয়েছে দোকানপাট, সুনসান নীরবতা রাস্তাঘাটে। জনজীবনে ছড়িয়ে পড়েছে তীব্র আতঙ্ক। নিজের এলাকাতেই স্বাভাবিকভাবে ঘোরাফেরা করতে পারছেন না সাধারণ লোকজন। এমনকি প্রয়োজন সত্ত্বেও বাড়ির বাইরে বের হতে চাইছেন না অনেকেই। বিভিন্ন এলাকায় জোরদার করা হয়েছে পুলিশি টহল। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় আধা-সামরিক বাহিনী ও বিএসএফের জওয়ানরা এলাকায় টহল দিচ্ছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতেও উত্তেজনা ছড়ায় বসিরহাটের ময়লাখোলা ও ত্রিমোহিনী এলাকায়। রাতভর চলে বোমাবাজি। এর পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর বাড়তি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছে প্রশাসন।
এদিকে বাদুড়িয়া, বসিরহাটসহ উত্তর চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার বিষয়ে খোঁজখবর নিতে বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন চেয়েছেন।
রাজ্য সরকার সূত্রে জানা যায়, উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে পশ্চিমবঙ্গে ৩৫৬ ধারা (রাষ্ট্রপতি শাসন) জারি করার দাবি তুলেছে মমতার নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘৩৫৬ ধারা জারি করা হোক। পদত্যাগ করুন মমতা।’
তবে বাদুড়িয়া ও বসিরহাটের ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, রাজ্যে এখনো ৩৫৬ ধারা জারির মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।