এসএসসি পরীক্ষা বৃহস্পতিবার শুরু, থাকছে কঠোর নির্দেশনা
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে সম্মেলন কক্ষে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এবছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠানে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে মন্ত্রণালয়ের। প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে নেয়া হয়েছে সব ধরণের ব্যবস্থা। বিগত সময়ে কেউ প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত থাকলে কোন কোন সময় আইনের ফাঁক দিয়ে পার পেত। এবার তা করতে দেয়া হবে না।
ছাত্রী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি:শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবারও ৮ বোর্ডে ছাত্রী পরিক্ষার্থীর পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার মোট ছাত্র পরিক্ষার্থীর চেয়ে ছাত্রী পরিক্ষার্থী বেশি অংশ নেবে ৪২ হাজার ৬৯০ জন। মাদ্রাসা বোর্ডেও মোট ছাত্র পরিক্ষার্থীর চেয়ে ২ হাজার ৪৫৬ জন ছাত্রী পরিক্ষার্থী বেশি পরিক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে মোট পরিক্ষার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ২৮৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র বৃদ্ধি পেয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৭১১ জন এবং ছাত্রী বৃদ্ধি পেয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৭৫ জন।
মন্ত্রী বলেন, এবছর মোট প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি পেয়েছে ২০৭ জন। মোট কেন্দ্র বৃদ্ধি পেয়েছে ১৭৬টি। এবার মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৪১২টি। নিয়মিত পরিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ লাখ ২৯ হাজার ৫৭৩জন। অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৮৯ হাজার ৭৪৬ জন।
বৃদ্ধি পেয়েছে বিজ্ঞান বিভাগের পরিক্ষার্থী:মন্ত্রী জানান, এবছর আমাদের নানা উদ্যোগের ফলে বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৮১ হাজার ৩৪০ জন। এবছর বিদেশে ৮টি কেন্দ্রে মোট পরিক্ষার্থীর সখ্যা ৪৫৮জন।
৩০ মিনিট আগে সিটে বসা বাধ্যতামূলক:মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার হলের সিটে অবশ্যই বসতে হবে। যদি কোন শিক্ষার্থী ৩০ মিনিট আগে সিটে বসতে না পারে তাকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেয়া হবে না। এ ব্যাপারে যানজটসহ নানা প্রতিবন্ধকতার বিষয়টি পরিক্ষার্থীদের মাথায় রাখার জন্য আমরা আগে থেকেই বলে আসছি।
পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন নয়:নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান, কেন্দ্র সচিব ব্যতিত অন্য কেউ কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে যেতে পারবে না। কেন্দ্র সচিব নিতে পারবেন শুধুমাত্র বাটন ফোন যে ফোনে ছবি তোলা যায় না। এবছর এসএসসি পরীক্ষায় বাংলা ২য় পত্র এবং ইংরেজী ১ম ও ২য় পত্র ছাড়া সকল বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।
মন্ত্রী জানান, নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়সমুহ এনসিটিবি’র নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নস্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সাথে ধারাবাহিকমূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর অনলাইনে বোর্ডে পেরণ করবে।