আদালতে খালেদা, হঠাৎ ব্যাপক নিরাপত্তা
পুলিশের এই অবস্থান কেবল আদালত চত্বর বা বকশিবাজারে নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এমনকি হাইকোর্ট এলাকাতেও পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে।
হঠাৎ করে কড়াকড়ি নিরাপত্তায় কারণ জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার এস এম মুরাদ আলী গণমাধ্যমকে জানান, ‘সবার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আর্চওয়ে স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী। যে কোনো প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলা করা জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে সবাইকে।
এর আগে, ৫ ডিসেম্বর এই মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে খালেদা জিয়ার বক্তব্য শেষ হলে আদালত যুক্তি উপস্থাপনে ১৯, ২০ ও ২১ ডিসেম্বর সময় বেঁধে দেয়। এর মধ্যে ১৯ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন করে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চেয়েছে।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল (ইকোনো কামাল), ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
এ বিশেষ জজ আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরো একটি দুর্নীতি মামলা চলছে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট নামে ওই মামলাতেও একই ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলাটির বিচারও প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে আসামিদের যুক্তি উপস্থাপন এখনো শুরু হয়নি।