ঢাকা, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

বিএনপির সর্বকনিষ্ঠ এমপি প্রার্থী হয়ে যা বললেন ডা. প্রিয়াংকা

২০২৫ নভেম্বর ০৪ ২২:৫২:৩৪

বিএনপির সর্বকনিষ্ঠ এমপি প্রার্থী হয়ে যা বললেন ডা. প্রিয়াংকা

২০১৮ সালের নির্বাচনে দেশের সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে শেরপুর-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা। এবারও বিএনপি থেকে একই আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা বলছেন, এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী হিসেবে সংসদে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রিয়াংকার। মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই শেরপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ও উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগ কার্যক্রম।

২০১৮ সালের নির্বাচনে শেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ হযরত আলী কারাগারে থাকায় তার মেয়েকে দলীয় প্রার্থী করা হয়। বাবার জনপ্রিয়তা ও নিজের তৃণমূল নেতৃত্বে প্রিয়াংকা সেই সময় আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছিলেন। দুপুর ১২টার মধ্যেই তিনি প্রায় ৩৫ হাজার ভোট পেয়েছিলেন বলে জানা যায়। তবে কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও জনগণের আস্থা অর্জনে ডা. প্রিয়াংকা দীর্ঘদিন ধরে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। গত নির্বাচনে হামলা-ভাঙচুরের মধ্যেও তার প্রতিবাদ ও দৃঢ় অবস্থান সারা দেশে আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। এবারের নির্বাচনে তিনি গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ঘুরে জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছেন, যা তার জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি করেছে।

কালবেলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডা. প্রিয়াংকা বলেন, “২০১৮ সালে ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম। সেই সময় শেরপুরের মানুষ ধানের শীষকে যে ভালোবাসা দেখিয়েছে, তা আমার রাজনৈতিক জীবনের বড় প্রাপ্তি। এবারও আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।”

তিনি আরও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি বিএনপি একটি বৃহৎ দল। প্রতিযোগিতা থাকতেই পারে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাদের লক্ষ্য এক—ধানের শীষের জয়। যারা মনোনয়ন পাননি, তারা আমাদের সঙ্গে থেকেই কাজ করবেন। ইনশাআল্লাহ, শেরপুর-১ আসনে আমরা ধানের শীষকে বিজয়ী করব।”

নারী কোটায় প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে প্রিয়াংকা জানান, “নারীদের কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আমি কাজ করব। নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে বড় প্রকল্পেও তাদের যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।”

শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন, “প্রিয়াংকা তরুণ নেতৃত্বের প্রতীক। নারী নেত্রীর সব গুণ তার মধ্যে রয়েছে। আমরা আশা করছি, তিনি রেকর্ড ভোটে বিজয়ী হবেন। শেরপুরের তিনটি আসনই এবার বিএনপি ফিরে পাবে।”

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত