ভয়ঙ্কর তথ্য দিলেনঃ ঢাকার একটি এলাকায় এইডস রোগী বাড়ছে
সোমবার বিশ্ব এইডস্ দিবস-২০১৭ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এইডসের ঝুঁকি বাংলাদেশে সবচেয়ে কম। ২০৩০ সালের মধ্যে রোগটি এ দেশ থেকে নির্মূল করা হবে।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার মস্কোয় গত ১৬ থেকে ১৮ নভেম্বর ‘যক্ষ্মা নির্মূলে করণীয়’বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষ্মা নির্মূলে আন্তঃদেশীয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ’।মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘রাশিয়ায় মিয়ানমারের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছে। সেখানে তিনি রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার কথা বলেছেন।
এতে প্রমাণ হয়, তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত।রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ কূটনৈতিকভাবে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, অচিরেই রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে।এছাড়া তিনি ২৮ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্ব ব্যাংকের আমন্ত্রণে ‘শেয়ারিং নলেজ ইভেন্ট-২০১৭’ শীর্ষক সম্মেলনে যোগ দেন।তিনি বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্বব্যাংকের যে নেতিবাচক মোনভাব ছিল, তার পরিবর্তন হয়েছে। তারা এখন এ দেশ সম্পর্কে বেশ ইতিবাচক।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের টিবিএল এবং এএসপি লাইন ডাইরেক্টার ডা. মো. ইহতেশামুল হক দুলাল বলেন, বাংলাদেশে এইডস সংক্রমণের হার ০.০১ শতাংশের নিচে। এ রোগে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী ১ শতাংশের মতো। দেশে সম্ভাব্য এইডস আক্রান্ত ১১ হাজার ৭০০ জন।
১৯৮৯ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ৫ হাজার ৫৮৬ জন আক্রান্তকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
এছাড়া গত এক বছরে নতুনভাবে ৮৬৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে ৬৩৯ জন পুরুষ, ২১৩ নারী, ১৩ জন হিজড়া এবং ৬৩ জন রোহিঙ্গা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অনিবার্য কারণে এ বছর ১ ডিসেম্বর জাতীয়ভাবে এইডস দিবস পালন করা সম্ভব হয়নি।
আগামীকাল ৬ ডিসেম্বর ওসমানী মিলনায়তনে এইডস দিবস উপলক্ষে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন।