আজকের রাজশাহী - খুলনার ম্যাচে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হলেন কে
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১৪৫ রানে অল আউট হয় রাজশাহী। এর আগে বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন রাজশাহীর দুই ওপেনার মমিনুল হক ও লুক রাইট। তবে দলীয় ১২ রানে ১১ রান করা মমিনুলকে বোল্ড করেন শফিউল ইসলাম।
একই ওভারে ১ রান করা লুক রাইটকে আর্চারের ক্যাচ বানিয়ে আউট করেছেন শফিউল ইসলাম। তারপর রনি তালুকদার ও জাকির হোসেনের ব্যাটে ৬.২ ওভারে দলীয় পঞ্চাশ পূরণ হয় রাজশাহীর।
দলীয় ৬৮ রানে ৩৬ রান করা রনি তালুকদারকে রাইলি রুশোর ক্যাচ বানিয়ে আউট করেছেন আবু জায়েদ। তার ঠিক পরের বলেই ১৯ রান করা জাকির হোসেনকে মাহমুদুল্লাহর ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফিরিয়েছেন আবু জায়েদ।
রাজশাহীর দলীয় ৮০ রানে ব্যাক্তিগত ১ রান করা কিংস দলপতি ড্যারেন স্যামিকে নিজের তৃতীয় শিকার বানিয়েছেন শফিউল ইসলাম। এর পরপরই ১১ রান করা মুশফিককে বোল্ড করে ফিরিয়েছেন সেই শফিউল।
তারপর মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে রাজশাহীর হাল ধরেন জেমস ফ্র্যাঙ্কলিন। তবে তিনিও বেশিক্ষন টিকতে পারেননি। ফ্র্যাঙ্কলিন ব্যাক্তিগত ১৪ রানে আর্চারের বলে বোল্ড হয়ে আউট হয়েছেন।
২৯ রান করা মেহেদী হাসান মিরাজকে আফিফ হোসেন আরিফুল হকের ক্যাচ বানিয়ে আউট করেছেন। ১ রান করা ক্যাসরিক উইলিয়ামস নিকোলাস পুরাণের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাহমুদুল্লাহর শিকার হয়েছেন।
তারপর শফিউল ইসলাম ১৮ রান করা মোহাম্মদ সামিকে আরিফুল হকের ক্যাচ বানিয়ে নিজের পঞ্চম শিকার বানালে ৬৮ রানের বড় হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় রাজশাহী কিংসকে।
ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে খুলনাকে ব্যাট করতে পাঠান কিংস কাপ্তান ড্যারেন স্যামি। ফলে ব্যাটিংয়ে নামেন খুলনা টাইটান্সের দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও রাইলি রুশো।
এই দুজনের ব্যাটে দারুণ শুরু করে খুলনা। মাত্র ২ ওভারেই তারা ১৬ রান তুলে নেয়। তারপর দলীয় ২৩ রানে জাকির হোসেনের দুর্দান্ত থ্রোতে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন টাইটান্স ওপেনার রাইলি রুশো।
তার ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৬ রান। খুলনার দাপুটে জয়ের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল দুই তরুণ ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন ও আফিফ হোসেনের। রাজশাহীর বিপক্ষে এ দু'জনের ব্যাট থেকে আসে ১০৩ রান। দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেনের সাথে যোগ দেন আফিফ হোসেন। এই অলরাউন্ডারকে সঙ্গে নিয়ে এক প্রান্ত দিয়ে মেরে খেলতে থাকেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সেই সাথে আজকের ম্যাচে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হন আফিফ হোসেন।
মাত্র ৬.১ ওভারে দলীয় অর্ধশতক পূরণ হয় খুলনার। দলীয় ৭৩ রানে জেমস ফ্রাঙ্কলিন ৪৯ রান করা শান্তকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে আউট করেন। একই ওভারে খুলনা টাইটান্স দলপতি মাহমুদুল্লাহকে ব্যক্তিগত ১ রানে বোল্ড করেছেন ফ্রাঙ্কলিন।
মাত্র ১১.৪ ওভারে দলীয় শতক পূরণ হয় খুলনার। ১৫.১ ওভারে দলীয় দেড়শো পার হয় খুলনার। মাত্র ২৪ বলে দুর্দান্ত এক অর্ধশতক তুলে নেন নিকোলাস পূরাণ।
পুরাণ ব্যক্তিগত ৫৭ রানে ফ্র্যাঙ্কলিনের বলে ড্যারেন স্যামির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন। কিন্তু অন্যপ্রান্তে টিকে থাকা আফিফ হোসেন মাত্র ৩৬ বলে দুর্দান্ত এক অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন।
শেষ দিকে ঝড়ো ১৪ বলে ৩৪ রান করা ব্র্যাথওয়েটকে বোল্ড করে আউট করেছেন মোহাম্মদ সামী। শেষ পর্যন্ত আফিফ হোসেন । এই প্রথম বিপিএল ইতিহাসে কোন চার না মেরে,শুধু ছক্কার ঝড়ে ৫৪ রান করে রের্কড গড়লেন আফিফ হোসেন ও আরিফুল হক ১ রান করে অপরাজিত থাকলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২১৩ রান সংগ্রহ করে খুলনা টাইটান্স।
খুলনা টাইটান্স একাদশঃ নাজমুল হোসেন শান্ত, রাইলি রুশো, আফিফ হোসেন, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, নিকোলাস পুরান, আরিফুল হক, কার্লোস ব্রাথওয়েট, জোফরা আর্চার, জুনায়েদ খান, তানভির ইসলাম, আবু জায়েদ রাহী।
রাজশাহী কিংস একাদশঃ ডোয়েইন স্মিথ, মমিনুল হক, লুক রাইট, মুশফিকুর রহিম, জাকির হাসান, জেমস ফ্র্যাঙ্কলিন, ড্যারেন স্যামি, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সামি, মুস্তাফিজুর রহমান, হোসেন আলী।