এক ইনিংসেই অনেক রেকর্ডের মালিক কোহলি
কোহলি তার সতীর্থ্য রোহিত শর্মার সেঞ্চুরির অপেক্ষাতে ছিলেন বলেই ডাবল সেঞ্চুরি ছুঁতে একটু দেরি হয়েছে। রোহিত শর্মা যখন সেঞ্চুরি পেলেন (১০২), ততক্ষণে ভারত স্কোরবোর্ডে ৬ উইকেট হারিয়ে ৬১০ রান তুলে ফেলেছে। তৃতীয় দিনেই জয়ের স্বাদ পেতে শুরু করেছে ভিরাট কোহলির দল।
তবে, এর আগে অবশ্য রেকর্ড ভাঙা-গড়ার এক দারুণ খেলায় মেতে উঠেছিলেন ভারতীয় দলপতি। চলতি বছরের মার্চেই বাংলাদেশের বিপক্ষে গড়েছিলেন প্রথম কোনো অধিনায়ক হিসেবে টানা চার টেস্ট সিরিজে ডাবল সেঞ্চুরি গড়ার রেকর্ড। এরপর দুটি সিরিজ ঠিক ব্যাটে-বলে হয়নি। আজ শ্রীলঙ্কান বোলারদের বাজে বোলিংয়ের সর্বোচ্চ ফায়দা তুলে পেয়ে গেলেন নিজের পঞ্চম ডাবল সেঞ্চুরি।
ভিরাট কোহলি ২৬৭ বলে ১৭ চার ও ২ ছক্কায় তুলেছেন ২১৩ রান। লঙ্কানদের বিপক্ষে ওয়ানডে গতিতে ডাবল সেঞ্চুরি করে ছুঁয়েছেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারাকে। টেস্টে এত দিন অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ পাঁচটি ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল লারার। চার ডাবল সেঞ্চুরিতে ডন ব্র্যাডম্যান, মাইকেল ক্লার্ক, গ্রায়েম স্মিথদের মতো দুর্দান্ত সব অধিনায়কের পাশে ছিলেন কোহলি।
আজ তাঁদেরও ছাড়িয়ে গেলেন ভারতীয় দলপতি। অবশ্য সেঞ্চুরি করেই বেশ কয়েকটি রেকর্ড গড়েছেন তিনি
অধিনায়ক হিসেবে ১৬ বার পঞ্চাশ পেরিয়েছেন, এর ১২টিই সেঞ্চুরি। ৭৫ শতাংশ ম্যাচেই সেঞ্চুরি, কমপক্ষে ১০ সেঞ্চুরি করেছেন এমন অধিনায়কদের মাঝে এত ভালো ‘কনভারশন রেট’ (ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দেওয়া) আর কারও নেই।
তাছাড়া, ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে ১২ সেঞ্চুরি নেই আর কারও। লঙ্কানদের বিপক্ষে এই সেঞ্চুরিটি চলতি বছর সব ফরম্যাট মিলিয়ে কোহলির ১০ম সেঞ্চুরি। এক বছরে এর আগে সর্বোচ্চ নয়টি সেঞ্চুরি ছিল সাবেক অজি অধিনায়ক রিকি পন্টিং (২০০৫ ও ২০০৬) ও প্রোটিয়া অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথের (২০০৫)। সে রেকর্ডে এখন থেকে একক আধিপত্য ভারতীয় অধিনায়ক কোহলির।