প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে যা বললেন খালেদা
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজ ঘরে ঘরে কান্নার আহাজারি। এই সরকারের হাত থেকে মানুষ মুক্তি চায়, পরিবর্তন চায়। এই পরিবর্তন হতে হবে ভোটের মাধ্যমে। সেজন্য মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। এজন্য নিদর্লীয় নিরপেক্ষ সরকারের অীধনে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। যেই নির্বাচন মানুষ নির্দ্বিধায় ভোট দিতে যাবে এবং তাদের ভোট তারা যাকে পছন্দ তাকে দেবে। সেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘বিচার বিভাগের কী অবস্থা আপনারা দেখেছেন। প্রধান বিচারপতিকে পর্যন্ত জোর করে অসুস্থ বানিয়ে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দেশের বাইরে পাঠানো নয়, দেশের বাইরেও আবার এজেন্সির লোক পাঠিয়ে তাঁর ওপর চাপ সৃষ্টি করে তাঁকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। সে চেয়েছিল দেশে ফিরে আসতে। কিন্তু তাঁকে দেশে ফিরতে দেওয়া হয়নি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নিরপেক্ষ নির্র্বাচন হতে পারে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে তারা কি ধরনের চুরি করেছে সবাই দেখেছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন, পেশাজীবিদের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ার, চিকিৎসক, শিক্ষকের ভোটে তারা একই কাজ করেছে। চুরি করে জনগণকে পাশ কাটিয়ে নির্বাচনে জয়লাভে কোনো আনন্দ নাই। এরপরও তারা নিজেদেরকে বিজয়ী দাবি করে। কারন তারা জনগণকে ভয় পায়।’
বিএনপি জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে চায় জানিয়ে প্রাক্তন এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবাই যাতে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজেদের ভোট নিজে দিতে পারে। সেজন্যই আমরা বলেছি নির্বাচন কমিশনের আমাদের কিছু কথা ইসির সংষ্কারের জন্য দিয়ে এসেছি। বলেছি যদি সুষ্ঠু নিবাচন অবাধ করতে হয় তাহলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। আজকে নির্বাচন কমিশনকে বলি, সেনা মোতায়েন করতে হবে, ইভিএম হবে না।’
ইসিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনি সরকারের অন্যায় আদেশ মানতে পারেন না। নির্বাচন কমিশনারদের বলতে চাই, অবাধ নির্বাচন করার দায়িত্ব আপনাদের। ইভিএম বন্ধ করতে হবে। সেনা মোতয়েন করতে হবে। নির্দলীয় সরকারের ব্যবস্থা করতে হবে। পুলিশ বাহিনীও থাকতে এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। হাসিনার গুন্ডাবাহিনীর হাতে অবৈধ অস্ত্র। তারা মানুষকে খুন করছে। সেনা না দিলে হাসিনার গুন্ডা বাহিনী কেন্দ্র দখল করে অত্যাচার চালাবে। এদেশের মানুষ ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে পরিবর্তনের জন্য ধানের শীষে ভোট দিয়ে দেখিয়ে দেবে যে জিয়াকে ভুলে নাই। তিনি আছেন মানুষের মনে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সহিংসতার রাজনীতি করি না। আমরা চাই আপনাদের শুদ্ধ করতে। আপনাদের শুদ্ধ করতে চাই। আপনারা যে মানুষ মারেন, খুন করেন, গুম করেন, এগুলো বাদ দিয়ে আপনাদের সত্যিকারের মানুষ বানানোর চেষ্টা করব।’