মেসির চাওয়া,কি চাই মেসি
ক্লাব ফুটবলে ব্যস্ত একটা সময় কাটছে মেসির। এর বাইরে জাতীয় দলের খেলা তো আছেই। ব্যস্ত ফুটবল সূচির ধকল যাতে নিজেকে সেরা অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সে জন্য কোচের সঙ্গে কথাও বলেছেন মেসি। পরশু প্রীতি ফুটবলে রাশিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলে আর্জেন্টিনার জয়ের পর জানিয়েছেন, ‘আমরা সাম্পাওলির সঙ্গে কথা বলেছি। এই মৌসুমে অনেক ম্যাচ খেলেছি আমরা—চ্যাম্পিয়নস লিগ, কোপা ডেল রে, লা লিগা এবং জাতীয় দলের হয়ে অনেক ম্যাচ।’ এই ‘কথা বলার’ ফলই কি নাইজেরিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার প্রীতি ম্যাচে তাঁর বিশ্রাম পাওয়া?
রাশিয়ার ক্রাসনোদারে আগামীকালই এই ম্যাচ। যেটির আগেই রাশিয়া থেকে বার্সায় ফেরার কথা মেসির। তবে তার আগে তাঁকে কথা বলতে হলো জাতীয় দল নিয়ে। সার্জিও আগুয়েরো, মাউরো ইকার্দি আর গঞ্জালো হিগুয়েইন—তাঁদের মধ্যে দলের আক্রমণে নিজের সঙ্গী হিসেবে বেছে নেবেন কাকে? অস্বস্তিকর এই প্রশ্নে মেসির কূটনৈতিক উত্তর, ‘কুন (আগুয়েরো), পিপা (হিগুয়েইন) ও মাউরো (ইকার্দি)—এরা একজন অন্যজন থেকে আলাদা। কিন্তু তিনজনই গুরুত্বপূর্ণ। কারা (বিশ্বকাপে) থাকবে, সে সিদ্ধান্ত নেবেন কোচ।’
রাশিয়ার বিপক্ষে ৯০ মিনিটই মাঠে ছিলেন মেসি। খেলেছেন দলের প্রাণভোমরা হয়েই। ন্যূনতম ব্যবধানে জিতলেও আর্জেন্টিনা দলে ছিল একটা সুস্থিরতার ছাপ। মেসির ভাষায়, ‘আমরা আগের চেয়ে অনেক ঠান্ডা মাথায় খেলেছি। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ভেনেজুয়েলা কিংবা পেরুর বিপক্ষে আমরা যত দ্রুত আক্রমণে গিয়েছি, এদিন সে রকমটা হয়নি। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা এক কথা, আর বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলা আরেক কথা।’ সে ম্যাচের গোলদাতা আগুয়েরোকেও প্রশংসায় ভাসালেন মেসি, ‘আগুয়েরোর গোল পাওয়াটা খুবই ভালো ব্যাপার এবং গুরুত্বপূর্ণও। তাকে নিয়ে খুশি আমি। সিটির হয়ে অনেক গোল করছে। এখন জাতীয় দলের হয়েও গোল করছে সে।’
আগুয়েরোর এই গোলের একটু বাড়তি তাৎপর্য আছে। আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল করায় যিনি ছাড়িয়ে গেলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে (৩৪)। আগুয়েরোর সামনে এখন শুধুই দুজন—গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা (৫৪) ও লিওনেল মেসি (৬১)। মার্কা, ডেইলি মেইল, গোলডটকম।