বিয়ের জন্য বাংলাদেশের যে জেলায় ‘প্রতি সপ্তাহে মেয়েদের হাটে তোলা হতো’
.ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ভোলার চর কুঁকড়িমুকড়ি নিয়ে রোববার এমন এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। চর কুঁকড়িমুকড়ি-র চেয়ারম্যান হাশেম মহাজনের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সেদিনের মতো ঘটনার কারণে ঘূর্ণিঝড়কে উপকূলের মানুষেরা অভিশাপ বলে মনে করেন।
১৯৭০ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় এলাকার অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। তবে হাশেম মহাজন জানান, ১৯৭০ সালের তুলনায় এখন ঘূর্ণিঝড়ের মত বড় দুর্যোগ মোকাবেলার প্রস্তুতি বেড়েছে।
সংকেত শুনে কিংবা গণমাধ্যম থেকে, বিশেষ করে এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সতর্কতা সম্পর্কে জেনে আগাম প্রস্তুতি নেয় মানুষ। তবে ঘূর্ণিঝড় বা দুর্যোগের আগাম বার্তা পাওয়ার ব্যবস্থা এখনো অপ্রতুল বলে জানান মহাজন।
তিনি এটাও জানান, আশ্রয়কেন্দ্রে যাবার ক্ষেত্রে এখনও স্থানীয় মানুষদের মধ্যে অনীহা রয়েছে। কেবল সচেতনতার অভাবে মানুষ ভিটেমাটি, গবাদি পশু ছেড়ে যেতে চায় না।
বাংলাদেশে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের সুরক্ষার লক্ষ্যকে সামনে রেখে রোববার অর্থাৎ ১২ নভেম্বরকে বেসরকারি কয়েকটি সংগঠন ‘উপকূল দিবস’ হিসেবে পালন করছে। ভোলা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, ফেনীসহ উপকূলবর্তী ১৫টি জেলার ৩২টি উপজেলায় এ নিয়ে নানা ধরনের কর্মসূচী পালন করা হয়।