আচমকা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল চারতলা বাড়ি
শনিবার ঠিক কী হয়েছিল? স্থানীয় বাসিন্দারা জানান গুন্টুরের নান্দিভেলগু রোডের পাশে ছিল বাড়িটি। রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য স্থানীয় গুন্টুর পুরসভা বাড়ির মালিক কে নরসিমা রাওকে নোটিস দিয়েছিল। জানানো হয়েছিল দ্রুত আবাসিকদের খালি করে দিতে হবে।
বারো বছর আগে চার তলার বাড়িটি বানিয়েছিলেন নরসিমা রাও। কয়েকটি ঘর তিনি ভাড়া দেন এবং বাকি ঘরগুলি নিজের ব্যবসার কাজে ব্যবহার করছিলেন। পুরসভা কিছু দিন আগে নোটিস দিলেও বাড়ি খালি করার ব্যাপারে গয়ংগচ্ছ ভাব দেখান নরসিমা। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ হয় পুরসভা। গত শনিবার পুরসভা তাদের এক ইঞ্জিনিয়ার ও কয়েকজন কর্মীকে ওই বাড়িতে পাঠায়। বাড়ি খালি করার পাশাপাশি তারা ওই ভবনের পাশে নর্দমা তৈরি করছিলেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ এতেই বিপত্তি বাধে। ড্রেন তৈরি করতে গিয়ে কোনওভাবে চারতলা বাড়িটির ভিত আলগা হয়ে যায়। তার জেরে শনিবার বিকেলে হঠাৎ বাড়িটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। কয়েক মুহূর্তের মধ্যে তা কার্যত ধুলিসাৎ হয়ে যায়। আগেভাগে বাড়ি থেকে আবাসিকদের বের করে দেওয়ায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। দুর্ঘটনার সময় বাড়ি লাগোয়া রাস্তায় কেউ না থাকায় বড় বিপদ হয়নি বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
এই ঘটনায় ইঞ্জিনিয়ারের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ গুন্টুর পুরসভা। তাকে শোকজ করা হয়েছে। স্থানীয় পুরপ্রধান সি অনুরাধা জানান, বাড়ির মালিককে ঘর ফাঁকা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি বাড়িটি নিয়ম না মেনে হওয়ায় বসবাসের উপযুক্ত ছিল না। এই জন্য বাড়ি ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়। বাড়ি ভেঙে পড়ার ওই ছবি এখন অন্ধ্রপ্রদেশে ভাইরাল। গুন্টুরের মানুষের হাতে হাতে ঘুরছে