শেষ বলের আগে মুশফিকের কথা মনে পড়ছিল : স্টোকস
ট্রেন্ট বোল্টের সর্বশেষ বলটিতে ২ রান প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডের। কিন্তু সেই বলটি থেকে এক রান নিতে সক্ষম হন স্টোকস। এরপর দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউটের শিকার হতে হয় তাঁকে। ফলে ম্যাচটি গড়ায় সুপার ওভারে।
একই ধরণের ঘটনা দেখা গিয়েছিল ২০১৬ সালের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যকার ম্যাচে। ২৩ মার্চ ব্যাঙ্গালুরুতে ভারতের বিপক্ষে জয়ের জন্য শেষ তিন বলে দুই রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু হার্দিক পান্ডিয়ার করা সেই ওভারের চতুর্থ বলে ডিপ মিড উইকেটে শিখর ধাওয়ানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মুশফিক।
পঞ্চম বলে রবীন্দ্র জাদেজার হাতে ক্যাচ হয়ে ফেরেন আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহও। এরপর শেষ বলটিতে মুস্তাফিজুর রহমান রান আউটের শিকার হলে জয়ের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরতে হয় বাংলাদেশকে।
বিশ্বকাপ ফাইনালেও মুশফিকের সেই আউটটির কথা চিন্তা করেছিলেন স্টোকস। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের পর এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘শেষ বলের আগে আমি টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ বনাম ভারতের ম্যাচটির কথা ভাবছিলাম (২০১৬)।’
শেষ বলে যখন দুই রান প্রয়োজন ইংল্যান্ডের সে সময় ছয় মা*রার চেষ্টা করেননি স্টোকস। এক রান নিয়ে সুপার ওভার পর্যন্ত ম্যাচটি নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য ছিল তাঁর। সেই কাজটিই করেছেন তিনি। স্টোকসের ভাষ্যমতে, ‘হিরো হওয়ার চেষ্টা করবেন না এবং ছয় মা*রার চেষ্টা করবেন না। একটি রান নেয়ার চেষ্টা করুন এবং সুপার ওভারে খেলাটি নিয়ে যান। এটাই আমার পদ্ধতি ছিল। আবেগ অনেক বেশি কাজ করছিল সেই মুহূর্তে।’
অবিশ্বাস্য একটি ফাইনালে জিতে বিশ্বকাপ ট্রফি নিজেদের করে নেয়ার এই অনুভূতি কখনোই মলিন হবে না বলে বিশ্বাস স্টোকসের। তাঁর মতে গত চার বছরে পরিশ্রমের পুরষ্কার হিসেবে অধরা বিশ্বকাপ জিততে পেরেছে ইংল্যান্ড।
‘সত্যি কথা বলতে এটি অবিশ্বাস্য একটি অনুভূতি ছিল। সেটা এখনও মিলিয়ে যায়নি। আজকের এবং গতকালের যে অনুভূতি, আম*রা এটি সারাজীবন ধরে রাখবো। আম*রা যা জিততে চেয়েছি তা পেরেছি। আম*রা গত চার বছরে যা করেছি এর জন্য আম*রা ফাইনালে খেলা প্রত্যাশা করতাম। অবশ্যই, আম*রা হতাশায় আচ্ছন্ন হতাম যদি ট্রফিটি জিততে ব্যর্থ হতাম।’