ব্যথা নিয়েও খুড়িয়ে খুড়িয়ে ব্যাটিং চালিয়ে যাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ
তবে পায়ের এই ব্যথা নিয়েই ব্যাটিং চালিয়ে যাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে রান নিচ্ছেন। তবে সেটা করতে যে বেশ কষ্ট হচ্ছে, বোঝাই যাচ্ছে।
সেমিফাইনালে যাওয়ার মিশনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে সাকিব-মাশরাফিরা। ভেজা আউটফিল্ডের কারণে বাংলাদেশ সময় দুপুর তিনটা ৪০ মিনিটে শুরু হয়েছে ম্যাচটি।
বিশ্বকাপে পাওয়ারপ্লের প্রথম ১০ ওভার আফগানদের হয়ে বোলিং শুরু করেন মুজিব যাদরান ও মোহাম্মদ নবী। বাম হাতি ব্যাটসম্যানদের জন্য ডান হাতি এই দুজন অফ স্পিনার বিপদের কারণ হয়ে দাড়ান অধিকাংশ ক্ষেত্রেই।
আফগানদের সেই পরিকল্পনা সফল করতে না দিতেই ওপেনিংয়ে চমক দেখিয়েছিল বাংলাদেশ । বিশ্বকাপে প্রথম পাঁচ ম্যাচ ওপেনিং করা সৌম্য-তামিম জুটিকে ভেঙ্গে লিটন-তামিম জুটিকে পাঠানো হয়েছিল মুজিব-নবীকে মোকাবেলা করার জন্য।
তবে সেই পরিকল্পনাটা কাজে দিল না বাংলাদেশের। ব্যক্তিগত ১৬ রান করেই মুজিবের বলে নাজিবুল্লাহর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন দাস।
কয়েক মিনিটের ব্যবধানে পুরো ম্যাচের কতৃত্ব নিয়ে নিয়েছিল আফগানিস্তান। প্রথমে ৩৬ রান করে ব্যাট করতে থাকা উইকেটে থীতু হয়ে যাওয়া তামিমকে ফিরিয়ে ঠিক তার কয়েক বল ব্যবধানে সাকিবকেও ফিরিয়ে!
টাইগারদের আকাশে কালো মেঘ জমার অবস্থা। ঠিক তখনই এক রিভিউ বাচিয়ে দিল বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ সেরা ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসানকে।
ইনিংসের ১৭তম ওভারে নবীর বলে ব্যাকফুটে চেপে গিয়ে শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান তামিম। ঠিক তার পরের ওভারেই সাকিবকেও লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলেন রশিদ খান।
আম্পায়ার আঙুল তুলে আউট জানিয়ে দিলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান সাকিব। এরপর মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে তুলে নিয়েছেন এবারের বিশ্বকাপে নিজের আরও একটি ফিফটি। তবে ফিফটি পূর্ন করেই ফের লেগ বিফরের ফাঁদে পড়ে ৫১ রান করে মাঠ ছাড়েন সাকিব।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান। মুশফিক ৬২ ও রিয়াদ ২১ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।