বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া দলের পারফরমেন্স:

বিশ্বকাপের প্রথম ও দ্বিতীয় (১৯৭৫ ও ১৯৭৯) আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় অস্ট্রেলিয়া। ১৯৯২ আসরে বিস্ময়করভাবে রাউন্ড রবিন পর্বে ছিটকে পড়ে। ২০১১ বিশ্বকাপে বিদায় নেয় কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। রানার্স-আপ হয় দুই বার(১৯৭৫ এবং ১৯৯৬)বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দল এবং পাঁচ বার ( ১৯৯৮, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭ এবং ২০১৫ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহবিশ্বকাপে এক ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া দলের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড সৃষ্টি হয় ২০১৫ আসরে। নিজ মাঠে এ আসরে নবাগত আফগানিস্তানের বিপক্ষে তারা ৬ উইকেট হারিয়ে ৪১৭ রানের রেকর্ড গড়ে। বিস্ময়করভাবে বিশ্বকাপ ইতিহাসেও এটাই দলীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।দলটির সর্বনিম্ন স্কোর ১৯৮৩ আসরে চেমসফোর্ডে ভারতের বিপক্ষে ১২৯ রান।

ব্যক্তিগত রেকর্ড: ওয়ার্নার এবং ম্যাকগ্রাবিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসটির মালিক ডেভিড ওয়ার্নার। ২০১৫ আসরে আফগানিস্তানের বিপক্ষ ওয়ার্নারের করা ১৭৮ রানের ইনিংসটি। বোলার হিসেবে বিশ্ব আসরে সেরা বোলিং ফিগারের মালিক পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা। ২০০৩ আসরে নামিবিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ১৫ রানে ৭ উইকেট নিয়ে রেকর্ডটি গড়েন তিনি। একই আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষ ২০ রানে। ৭ উইকেট শিকার করেছিলেন এন্ডি বিচেল।

রিকি পন্টিং এবং গ্লেন ম্যাকগ্রার রেকর্ড:বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৭৪৩ রান করেছেন সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান সহকারী কোচ রিকি পন্টিং। ৫ সেঞ্চুরি এবং ছয়টি হাফ সেঞ্চরি নিয়ে তিন দলের সর্বোচ্চ স্কোরার এবং সর্বকালের সেরাদের তালিকায় আছেন দ্বিতীয় স্থানে। অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ উইকেট শিকারী ম্যাকগ্রা বিশ্বকাপেরও শীর্ষে আছেন।

অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের আরো কিছু উল্লেখযোগ্য রেকর্ড:• বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ানদের পন্টিং ছাড়া এক হাজারের বেশি রান করেছেন অপর দুই ব্যাটসম্যান মার্ক ওয়াহ (১০০৪) এবং অ্যাডাম গিলক্রিস্ট (১০৮৫)• ৫ সেঞ্চুরি নিয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে পন্টিং।• উইকেটকিপার হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫২ টি ডিসমিসালের মালিক গিলক্রিস্ট।• উইকেটকিপারের বাইরে সবচেয়ে বেশি ২৮টি ক্যাচ নেয়ার রেকর্ড রয়েছে পন্টিংয়ের।