অবশেষে খেলা ছাড়ার কারণ জানালেন ডি ভিলিয়ার্স
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও এখনো যে ফুরিয়ে যাননি সেটার জানান দিচ্ছেন বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্জাইজি লিগে খেলে। তাহলে কেনো বিশ্বকাপ না খেলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন ডি ভিলিয়ার্স? এমন প্রশ্ন তার সমর্থকদের মনে ঘুরপাক খেয়েছে নিশ্চয়ই। এ নিয়ে জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল ব্রেকফাস্ট উইথ চ্যাম্পিয়নস’-এ এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ভিলিয়ার্স।
হঠাৎ করে জাতীয় দল থেকে বিদায় নেয়া প্রসঙ্গে সম্প্রতি ভিলিয়ার্স বলেন, আসলে অদ্ভুত এক পরিস্থিতিতে আমাকে অবসর নিতে হয়েছিল। ক্রিকেট জীবনের শেষ তিন বছরে বলা হচ্ছিল আমি যখন খুশি খেলি আবার যখন খুশি নিজেকে গুটিয়ে নেই। এই সমালোচনার হাত থেকে বাঁচতেই খেলা ছেড়ে দিলাম। তা ছাড়া আরো কিছু কারণ আছে।
ভিলিয়ার্স আরও বলেন, ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে আমারও খেলার স্বপ্ন ঠিল। কিন্তু পুরনো সমালোচনাটা ফিরে আসতে পারে। সেই চিন্তা থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আসলে একটা পাউরুটির টুকরোর দুই দিকে তো আর মাখন লাগানো যায় না। নিজেকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, পাউরুটির কোন অংশটা শুকনো থাকবে। সেই চিন্তা থেকেই অবসরে যাওয়া।
আগামী বিশ্বকাপ হবে ২০২৩ সালে। তখন যদি দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডে আপনাকে খেলার জন্য ডাকে খেলবেন?
এমন প্রশ্নের জবাবে হাসতে হাসতে ভিলিয়ার্স বলেন, আগামী বিশ্বকাপে আমার বয়স হবে ৩৯ বছর। তখন যদি মহেন্দ্র সিং ধোনি খেলে তাহলে আমিও খেলব! অবশ্য তখন যদি ফর্মে থাকি।
ক্রিকেট থেকে হঠাৎ অবসর নিয়ে ভিলিয়ার্স বলেন, টানা ১৫ বছর খেলেছি দেশের হয়ে। ক্রিকেট জীবন ব্যস্ততার, যন্ত্রণারও বটে। সারাক্ষণ একজন ক্রিকেটারকে চাপে থাকতে হয়, যা ভেতরে ভেতরে ক্ষয়ের ক্ষত তৈরি করে। কেউ অধিনায়ক হলে যন্ত্রণাটা বাড়ে আরো। পারিবারিক জীবনে ঝড়-ঝাপ্টা আসে। তাই যেসব কারণে হঠাৎ খেলা ছেড়ে দিলাম।