সিরিজ জিতে আরও একটি দলকে টপকাল লংকানরা
৮ ম্যাচে এক জয় ও এক ড্র পাওয়া বাংলাদেশ আছে আট নম্বরে। বাংলাদেশের নিচে আছে ইংল্যান্ড। ১৩টি টেস্ট খেলে তারা মাত্র একটি জিতেছে, ড্র করেছে ৪টি। পয়েন্ট ১৮।
১০ উইকেটে হারের ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৯ রান করে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা নিজেদের দুই ইনিংসে করে যথাক্রমে ৫০৬ ও ২৯ রান।
পঞ্চম দিন লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৮ বলে জয় পায় সফরকারী দল। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল, অল্প রানে গুটিয়ে যাবে বাংলাদেশ। কারণ, মাত্র ২৩ রানে ৪ ব্যাটারকে হারিয়ে মহাবিপদে পড়েছিল টাইগাররা। তবে লিটন ও সাকিব আশা দেখাচ্ছিলেন। তাদের ১০৩ রানের জুটি আশা দেখাচ্ছিল-ড্র করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
হঠাৎ টাইগার ব্যাটিংয়ে ছন্দপতন। প্রথমে লিটন ফার্নান্দোর কাছে ক্যাচ তুলে নিয়ে পতনের শুরু করেন। তখন দলের রান ছিল ১৫৬। আর ফার্নান্দো ভাঙেন সাকিব-লিটনের ১০৩ রানের জুটি। এরপর সাকিব ৫৮ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলে বাংলাদেশের হারটা সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
১৫৬ রানে যেখানে ছিল ৫ উইকেট, এরপর মাত্র ১৩ রান তুলতেই বাকি ৫ উইকেট হারিয়ে বসে টাইগাররা। দ্বিতীয় ইনিংসেও নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন। প্যাভিলিয়নে ফিরেন মাত্র ৯ রান করে।
এরপর তাইজুল, খালেদরাও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। শ্রীলঙ্কার দাপটের ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০ উইকেট পান অসিথা ফার্নান্দো। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটের আগে প্রথম ইনিংসে ফার্নান্দো তুলে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। ম্যাচসেরাও হন তিনি।
এরপর ২৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৮ বল খরচ করেই ম্যাচের সঙ্গে সিরিজও জিতে নেয় শ্রীলঙ্কা। ওশাদা ফার্নান্দো অপরাজিত থাকেন ৯ বলে ২১ রান করে। আর অধিনায়ক করুনারত্নে অপরাজিত থাকেন ৭ রানে।