টেস্ট ক্রিকেটের এই বিশ্ব রেকর্ড এখন বাংলাদেশের দখলে
এখনও ২২২ রানে পিছিয়ে আছে তারা। এদিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২ বিশ্বরেকর্ডের খাতায় নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। একটি হতাশার রেকর্ড অন্যটি গৌরবের। টাইগারদের ইনিংস শেষ হয় ইবাদত হোসেনের শূন্য রানে রান আউট হওয়ার মাধ্যমে।
এটা এই ম্যাচে বাংলাদেশের ষষ্ঠ শূন্য। ইবাদতের আগে শূন্য রানে আউট হয়েছে মাহমুদুল হাসান জয়, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ। ফলে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি শূন্য রানে আউট হওয়ার লজ্জার বিশ্বরেকর্ডের খাতায় আবারও বাংলাদেশের নাম উঠল। এক ইনিংসে ৬ শূন্য টেস্ট ক্রিকেটে এর আগে দেখেছে ৫ বার। সেখানেও একবার ছিল বাংলাদেশের নাম। ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই তিক্ততার অভিজ্ঞতা অর্জন করে বাংলাদেশ।
তবে লজ্জার এই বিশ্বরেকর্ডের খাতায় পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারতের নামও লিপি বদ্ধ আছে। ১৯৮০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাকিস্তানের, ১৯৯৬ সালে ভারতের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার, ২০১৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের ও ২০১৮ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের।
লজ্জার রেকর্ডের মাঝেই গৌরবগাঁথার বিশ্বরেকর্ড রচনা করেছে মুশফিকরা। এর আগে ৬ ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হওয়ার পর কোন দলই বড় স্কোর করতে পারেনি। এই ৪ দেশের মধ্যে ভারত সর্বোচ্চ ১৫২ রান করতে পেরেছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৪ সালে। এবার বাংলাদেশ সেই স্কোর ছাড়িয়ে মোটামুটি চ্যালেঞ্জ জনক স্কোর ৩৬৫ রান করেছে। ৬ ব্যাটসম্যানের শূন্যের ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রানের বিশ্বরেকর্ড।
এছাড়া আরও একটা বিষয় আছে, আগের ৬ শূন্যের ৫ ইনিংসে কেউ কোনো সেঞ্চুরি করেত পারেননি। অথচ বাংলাদেশের ইনিংসে সেঞ্চুরি দুটি, মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত ১৭৫ ও লিটন দাসের ১৪১। শুধু টেস্ট ক্রিকেটেই নয়, বাংলাদেশের এই রান প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও রেকর্ড।