অবশেষে সামনে এলো কোহলির টি-২০ অধিনায়কত্ব ছাড়ার আসল কারন
এর পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ থাকলেও মূল কারণ কোহলির টিমমেট রোহিত শর্মা। আইপিএলের মৌসুম এলেই প্রকটভাবে বিষয়টি আলোচিত হচ্ছিল বেশ কয়েক বছর ধরে। মূলত আইপিএল দিয়েই ভারতের টি-টোয়েন্টির শক্তি মাপা হয়। কারণ এক আইপিএলে যতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা আসে, সারা বছরের অন্য সব টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টেও সে আমেজ আসে না।
আর সেই টুর্নামেন্টে বারবার ছক্কা মারছেন রোহিত শর্মা। তার মুম্বাই ইন্ডিয়ানস এ পর্যন্ত পাঁচবার শিরোপা জিতেছে। কিন্তু যথেষ্ট সাপোর্ট পাওয়ার পরও কোনো শিরোপা জিততে পারেনি বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরু। এবারের আসরে বেঙ্গালুরু ভিন্ন কিছু করে ফেলবে তেমন কোনো লক্ষণ নেই। ফলে আরেকদফা বিতর্ক এড়াতেই আইপিএলের এবারের আসরের বাকি অংশ শুরুর আগে জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে দেন কোহলি।
কখনো কখনো বিরাট কোহলির অনুপস্থিতিতে রোহিত শর্মা দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং সেখানে সাফল্য পেয়েছেন। ফলে এখানে কোহলি অপ্রতিদ্বন্দ্বী, এ কথা বলার সুযোগ নেই। বিষয়টি কোহলির ওপর চাপ বাড়াচ্ছিল। ফলে ক্যাপ্টেন্সি কেড়ে নেয়ার আগেই নিজে থেকে ছেড়ে দেয়ার বুদ্ধিটা খারাপ নয় কোহলির জন্য।
আরো কয়েকটি ছোট কারণ অবশ্য রয়েছে। নিজেই কারণ হিসেবে ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দেয়ার কথা বলেছেন। এটি আসলেই প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। কারণ দুবছর হতে চলল কোহলির ব্যাটে সেঞ্চুরি নেই। পুরনো ধারাবাহিকতাও চোখে পড়ছে না। তাই নেতৃত্বের বোঝা আপাতত ঝেড়ে ফেলতে চাইলেন তিনি।
ক্যারিয়ারের অনেকটা পথ সামনে পড়ে থাকলেও তিন ফরম্যাটে ভারতের মতো একটা দলের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে ব্যাপক চাপের মুখে পড়তে হয়। ফলে ক্যারিয়ার লম্বা করার স্বার্থে হলেও কিছু দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়াটাই বুদ্ধিমানের মতো পদক্ষেপ।
মাঝে মধ্যেই বিরাট কোহলির সাথে টিম ম্যানেজমেন্ট বা দলের সদস্যদের দ্বন্দ্ব চোখে পড়ছিল। দল সাফল্য পেলে বিষয়গুলোকে ইতিবাচক হিসেবেই উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু দল ব্যর্থ হলে এসব বিষয় সবার সামনে প্রকট হয়ে ওঠে। ফলে টি-টোয়েন্টির ক্যাপ্টেন্সিটা ঠিক উপভোগ করে উঠতে পারছিলেন না সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান।