’ও খাবার না খেয়েই ব্যাট নিয়ে মাঠে চলে যেতো’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে লিটন দাস খেলার সুযোগ পাওয়ায় আনন্দিত পরিবার ও দিনাজপুরবাসী। সবার প্রত্যাশা, বিশ্বকাপে ভালো করবেন লিটন দাস। এদিকে লিটন দাসের বাবা বাচ্চু দাস বলেন, ‘স্কুল ছুটি হওয়ার পরও বাড়ি ফিরতো না লিটন। বন্ধুদের সঙ্গে মাঠে খেলতো।
দোকান থেকে ফিরে এসে দেখতাম, সে বাড়িতে ফেরেনি। এরপর তাকে মাঠ থেকে নিয়ে আসতাম। অনেক সময় খাবার না খেয়েই ব্যাট নিয়ে মাঠে চলে যেতো। কোনও কিছুর জন্যই খেলা ছাড়তো না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা মধ্যবিত্ত মানুষ। সে সময় আর্থিক সমস্যা থাকলেও কখনও কারও কাছে হাত পাতিনি।
লিটনের চেষ্টা ছিল, আমাদের ছিল সাপোর্ট। মূলত ওর চেষ্টাকে আমরা বড় করে দেখেছি। আমার বড় ছেলে বাপ্পি তাকে (লিটন) বেশ সহযোগিতা করেছে। সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন দিনাজপুর জেলা ক্রিকেট টিমের কোচ ও প্রচেষ্টা ক্রিকেট কোচিং সেন্টারের পরিচালক আবু সামাদ মিঠু।’
লিটনের বাবা আরও বলেন, ‘আবু সামাদ মিঠুর কাছে লিটন দাসের হাতেখড়ি। এরপর সেখান থেকে সে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) সুযোগ পায়। বিকেএসপির কোচরা তাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। পরে জাতীয় ক্রিকেট দলে সুযোগ পায়।
সে খুব পরিশ্রম করেই এই জায়গা এসেছে। বাংলাদেশ দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে লিটন খেলবে, এটাই চাই।’ লিটন দাসের বড় ভাই বাপ্পি দাস বলেন, ‘আমার ভাই দেশের হয়ে খেলছে, এর চেয়ে বড় আনন্দের আর কী হতে পারে? আমাদের চাওয়া, লিটন ভালো খেলুক, বাংলাদেশ দল ভালো খেলুক।’
লিটন দাসকে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন আবু সামাদ মিঠু। তিনি বলেন, লিটন দাস বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েছে, এটা আমাদের জন্য আনন্দ ও গর্বের। আমরা আশা করি এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভালো করবে, লিটন দাসও ভালো করবে। সে ভালো খেলুক এটা আমার প্রত্যাশা।’