লকডাউনে শিল্পকারখানা খোলা নিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানালেন : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
সোমবার (২৬ জুলাই) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত ২৩ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। এই বিধিনিষেধ থাকবে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত।
বিধিনিষেধের মধ্যেও অনেকে কলকারখানা চালু রেখেছেন- একজন সাংবাদিক এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘কেউ খুলে থাকলে তা পর্যবেক্ষণ করছি, কারা খুলছে? যদি খুলে থাকে, প্রমাণ পাওয়া যায়, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘রাস্তায় যখন মানুষ নামছে, তখন বলছে আমার চাকরিতে যেতে হচ্ছে। আসলে এটার সত্যতা যাচাই করার চেষ্টা করছি। তারা যে সমস্ত নাম বলছে, সেগুলো চেক করার চেষ্টা করছি।’
মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কি না জানতে চাইলে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘এটা (করোনা) যে পরিস্থিতিতে ছড়িয়ে গেছে, এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা কঠিনভাবেই প্রজ্ঞাপন জারি করেছি। এ ব্রেকটা খুব দরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের সংক্রমণ কমানোর জন্য ব্রেক প্রয়োজন। ব্রেকটার জন্য এটাই উপযুক্ত কৌশল, সেটা হচ্ছে বিধিনিষেধ। সেক্ষেত্রে এটা ৫ আগস্ট পর্যন্ত কার্যকরীভাবে করার একটি নির্দেশনা আছে।’
একজন সাংবাদিক বলেন, বিধিনিষেধ কঠোরতম হওয়ার কথা আপনি বলেছিলেন, কিন্তু সেটা মাঠে দেখছি না। এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু গার্মেন্টস ও রপ্তানিমুখি কলকারখানাগুলো বন্ধ রেখেছি, লাখ লাখ শ্রমিক আসা-যাওয়া করতো, সেগুলো কমেছে। এগুলো ছাড়াও আরও বিভিন্ন কারণ আছে, যে কারণে মানুষ বাইরে আসছে। অযৌক্তিক কারণে এলে কিন্তু আইনের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে শুরু করে জরুরি সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত মানুষ বাধাহীনভাবে চলাফেরা করতে পারছে।’