ব্যাটিং ঝড়ে অভিষেকেই উইন্ডিজ বোলারকে চরম লজ্জা দিলেন মাহমুদউল্লাহ
সেই ওভারের চতুর্থ বলে বাউন্ডারি হাঁকান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এবং শেষ বলের আগেরটিতে আবার ছক্কা মারেন মাহমুদউল্লাহ। সবমিলিয়ে কিয়ন হার্ডিংয়ের করা সাত বলের ওভারটিতে ২২ রান তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ ও সাইফ। যা দলীয় সংগ্রহটা পৌঁছে দেয় ২৯৭ রানে।
তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ফিফটিতে ভর করে বাংলাদেশের ২৯৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করানো ইনিংসটিতে বল হাতে ১০ ওভারে ৮৮ রান খরচ করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অভিষিক্ত পেসার কিয়ন হার্ডিং। যা কিনা অভিষেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো বোলারের সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড। সবমিলিয়ে ক্যারিবীয়দের হয়ে তৃতীয় খরুচে বোলিং করেছেন তিনি।
শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে কোনো বোলারের সবচেয়ে বেশি রান খরচের বোলিংও হয়ে থাকল এটি। এর আগে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১০ ওভারে ৮২ রান খরচ করেছিলেন ইংলিশ পেসার জ্যাক বল। এতদিন ধরে এটিই ছিল কোনো নির্দিষ্ট বোলারের বিপক্ষে ১০ ওভারে নেয়া সর্বোচ্চ রানের ঘটনা। এখন এটি চলে গেলো কিয়ন হার্ডিংয়ের নামে। বাংলাদেশের বিপক্ষে শুধু এ দুজন বোলারই ওয়ানডেতে ৮০'র বেশি রান খরচ করেছেন।
আজকের ম্যাচে হার্ডিংয়ের শুরুটা তেমন বাজে ছিল না। প্রথম চার ওভারে তিনি খরচ করেন মোটে ১৬ রান। প্রথম ওভারে ৬ রান দিয়ে শুরু করে, পরের দুই ওভারে দেন ৫ রান করে এবং চতুর্থ ওভারে তার খরচ ঠিক ৪ রান। তবে তার করা পঞ্চম ওভারে ১১ রান তুলে নেন তামিম ও সাকিব। তখনই তাকে আক্রমণ থেকে সরিয়ে নেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক। ফলে প্রথম স্পেলে তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ৫ ওভারে ২৭ রান।
পরে ৩৪তম ওভারে দ্বিতীয় স্পেলে এসে করেন আরও দুই ওভার। যেখানে তিনি খরচ করেন ১৫ রান। তার অষ্টম ওভারে আসে মাত্র ৬ রান। তবে শেষ দুই ওভারেই সব গড়বড় করে ফেলেন ২৪ বছর বয়সী এ ডানহাতি পেসার। নবম ওভারে এক চার ও এক ছয়ে দেন ১৪ রান। আর শেষ ওভারে একটি নো বলসহ মোট ২২ রান দিয়ে নিজের ১০ ওভারে ৮৮ রান খরচ করে বসেন হার্ডিং। যা তাকে বসিয়েছে ক্যারিবীয়দের পক্ষে অভিষেকে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের তালিকায় সবার ওপরে।