৬৩ বলে ৯৯ গেইল ব্যাট হাতে গড়লেন নতুন বিশ্বরেকর্ড
ব্যাট হাতে অবশ্য শুরুটা শুভ হয়নি পাঞ্জাবের। প্রথম ওভারের শেষ বলেই আর্চারের শিকার হয়ে দলীয় ১ রানে মাঠ ছাড়েন মান্দিপ সিং। তবে এরপরই শুরু হয় গেইল ঝড়। অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকে সাথে নিয়ে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রাজস্থানের বোলার বেন স্টোকস-আর্চারদের নাস্তানাবুদ করেন গেইল।
অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের সাথে মিলে গেইল গড়েন ১২০ রানের বিশাল জুটি। এই জুটিতে ছেঁদ পরে স্টোকসের বলে রাহুল ফিরে গেলে। সাজঘরে ফেরার আগে ৪১ বল মোকাবেলায় ৪৬ রান করেন অধিনায়ক রাহুল।
দলীয় ১২১ রানে লোকেশ রাহুলের বিদায়ের পরও অদম্য থাকেন গেইল। ৬টি চার ও ৮ টি ছক্কা হাঁকিয়ে মাত্র ১ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করতে হয় তাকে। ইনিংসের শেষ ওভারের চতুর্থ বলে ব্যক্তিগত ৯৯ রানে আর্চারের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি। এই ইনিংস খেলতে গেইল মোকাবেলা করেছেন ৬৩ বল। এই ম্যাচের মধ্য দিয়েই টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১ হাজার ছক্কা হাঁকানোর মাইলফলক স্পর্শ করেছেন দ্য ইউনিভার্স বস।
বল হাতে রাজস্থানের জার্সিতে ব্যর্থ ছিলেন বরুন অরুণ। চার ওভার বল করে ৪৭ রান খরচ করলেও কোনো উইকেটের দেখা পান নি তিনি। এছাড়া চার ওভারে ৩২ রান খরচায় স্টোকস নিয়েছেন মাত্র ২টি উইকেট। এছাড়া ২৬ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়েছেন জোফরা আর্চার।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে নিকোলাস পুরানের ১০ বলে ২২ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে লোকেশ রাহুলের কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব সংগ্রহ করে ১৮৪ রান।
উল্লেখ্য, এই ম্যাচ ব্যতিত এখন পর্যন্ত দুই দলই খেলেছে নিজেদের ১২টি করে ম্যাচ। ১২ ম্যাচ থেকে ৬ জয় এবং ৬ হার নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চার নম্বরে রয়েছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। অন্যদিকে সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে পাঁচ জয় ও সাত হারে ১০ পয়েন্ট নিয়ে রাজস্থানের অবস্থান রয়েছে সাত নম্বরে।
এই ম্যাচ হারলে রাজস্থান ছিটকে যাবে টুর্নামেন্ট থেকে। এছাড়া পাঞ্জাব হারলে তারাও বাদ পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে অনেকটা।