ফাইনালে ব্যাটিং ঝড় তুলেছে লিটন, খেলাটি সরাসরি দেখুন এখানে
১০ ওভার বোলিং করে ৩৮ রান দিয়ে এই উইকেটগুলো নিয়েছেন সুমন। এমন বোলিংয় সামলে নাজমুলরা ১৭৩ রানে অল আউট হয়। ৬৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর নাজমুলদের হাল ধরেন অভিজ্ঞ ইরফান শুক্কুর। মূলত তার ৭৫ রানের ইনিংসেই লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে দলটি।
এই ম্যাচের শুরুতে ম্যাচে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি নাজমুলদের। শুরুতেই ওপেনার সৌম্য সরকার রিটায়ার্ড হাট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান। জানা যায় তিনি খেলতে নেমে চোখের সমস্যায় ভুগছিলেন।
এরপর আরেক ওপেনার সাইফ হাসান ইনসাইড এজ হয়ে রুবেল হোসেনের বলে বোল্ড হয়েছেন। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের সঙ্গে জুটি গড়তে নামেন মুশফিকুর রহিম। এই জুটিকে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি সুমন খান। এই পেসার ১৫ রান করা মুশফিকুর রহিমকে এলবিডব্লিউ করে আউট করেন।
এরপর আবারও উইকেটে আসেন সৌম্য সরকার। মুশফিকের আউট হওয়ার পর কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। তিনি সুমনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন। এরপর ফিরে গেছেন নাজমুলও।
১৮ রান করে তিনি মিড অনে মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি মেহেদী হাসান মিরাজের বলে। বাকি গল্পটা শুক্কুর আর হৃদয়ের। যুব বিশ্বকাপ খেলে আসা হৃদয়কে নিয়ে শুক্কুর ৪৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। প্রেসিডেন্টস কাপে এটি তার দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি।
এরপর হৃদয় ব্যক্তিগত ২৬ রানে আউট হলে এই দুজনের ৮২ বলে ৭০ রানের জুটি ভাঙে। হৃদয় মাহমুদউল্লাহর উপর চড়াও হয়তে হয়ে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন লিটন দাসের হাতে। এরপর নাঈম হাসানকে (৭) এলবিডব্লিউ এবং নাসুমকে (৩) নুরুল হাসান সোহানের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান সুমন।
আর তাতেই উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছান এই পেসার। শেষ দিকে ৭৮ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলা শুক্কুরকে বোল্ড করেছেন। এরপর এবাদত হোসেন ১ রান করা তাসকিনকে বোল্ড করলে নাজমুলরা অল আউট হয়ে যায় ১৭৩ রানে। সাংক্ষিপ্ত স্কোরঃ নাজমুল একাদশঃ ১৭৩/১০ (৪৭.১ ওভার) (হৃদয় ২৬, শুক্কুর ৭৫, নাজমুল ১৯; সুমন ৫/৩৮, রুবেল ২/২৭)