কাতারকে নিয়ে সৌদির বিশেষ বার্তা
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই হবে। সে জন্য প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কের ফাটলের সমাপ্তি ঘটাতে হবে। এটি অদূর ভবিষ্যতে মঙ্গল বয়ে আনবে।’
২০১৭ সালে সৌদি আরব ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), বাহরাইন এবং মিসর কাতারের সাথে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দেশটির ওপর জল, স্থল ও আকাশপথে অবরোধ আরোপ করে।
অবরোধ আরোপকারী দেশগুলো দোহার বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদে মদদ’ ছাড়াও বছরের পর বছর ধরে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছিল। এ ছাড়া আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের খুব ঘনিষ্ঠ হওয়ারও অভিযোগও উঠেছিল দোহার বিরুদ্ধে। তবে কাতার তীব্রভাবে এসব অভিযোগ প্রত্যাখান করে আসছে।
এই চার দেশ আল-জাজিরা বন্ধ করে দেয়া, ইসলামপন্থী গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন, ইরানের সাথে সম্পর্ক সীমাবদ্ধ করা এবং দেশটিতে মোতায়েন তুর্কি সেনাদের বহিষ্কার করার মতো শর্ত জুড়ে দেয়ার পর কাতার তা মানতে অস্বীকৃতি জানানোয় এই বিরোধের অবসানে অতীতের বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
এর আগে ফরহাদ ফিলিস্তিন-ইসরায়েল শান্তি পরিকল্পনার রূপরেখার ভিত্তিতে তেল আবিব-রিয়াদ সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে বলে মন্তব্য করেছেন। ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট স্টাডিজের সঙ্গে এক অনলাইন সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।