| ঢাকা, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

টাকার অভাবে সৌদি প্রবাসীরা ঘুমালেন রাস্তায়

বিশ্ব ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০২০ সেপ্টেম্বর ২৫ ১৮:৫৭:৩১
টাকার অভাবে সৌদি প্রবাসীরা ঘুমালেন রাস্তায়

১৩-১৪ বছর ধরে সৌদিতে থাকেন তাঁরা পাঁচজন। ঝালকাঠীর রাজাপুর উপজেলায় গ্রাম তাদের। বিগত রোববার তাঁরা পাঁচজনই একসঙ্গে ল’ঞ্চে করে ঢাকায় আসেন। এই পাঁচজনই এসেছেন কর্মস্থলে ফেরার জন্য ফিরতি টিকেটের আশায়।

সেই থেকেই আছেন কারওয়ান বাজারের সোনারগাঁও হোটেলের সৌদি এয়ারলাইনসের সামনে। তাঁরা ভেবেছিলেন, টিকেটের ব্যবস্থা করে রোববার রাতে পুনরায় ফিরে যাবেন বরিশালে। কিন্তু সেই ব্যবস্থা তাঁরা আর করতে পারেননি। এমনকি কর্তৃপক্ষও তাঁদের টিকেটের ব্যাপারে কোনো যথাযথ উত্তর দিতে পারেনি।

ঢাকায় পাঁচজনের কারোর আত্মীয় কিংবা থাকার মতো কোনো পরিচিতজন নেই। বাড়ি থেকেই লঞ্চে বিশ্রামের জন্য তাঁরা বিছানা নিয়ে এসেছিলেন। রোববারের রাতটি তাঁরা কাটিয়ে দেন সোনারগাঁও হোটেলের সামনের ফুটপাতে ওই বিছানা বিছিয়ে।

এভাবে সোমবার এবং মঙ্গলবারের রাতও তাঁরা রাস্তায় কাটিয়ে দেন। শুধু এই পাঁচজন নয়, একই অবস্থায় ছিলেন আরো অনেকে। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এসব জানায় ওই পাঁচ সৌদিপ্রবাসী। ওই পাঁচজনের একজন আবুল কালাম। তিনি ১৩ বছর ধরে সৌদিতে থাকেন। তিন মাসের ছুটিতে আবুল কালাম দেশে ফেরেন চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি। পুনরায় ফিরে যাওয়ার কথা ছিল ২ জুন। কিন্তু এর ভেতরে করোনাভাইরাসের জন্য সরকার লকডাউনের ঘোষণা দিলে তিনি আর যেতে পারেননি।

আবুল কালাম বলেন, ‘আমি, বাচ্চু হাওলাদার, ইসমাইল হাওলাদার, সিদ্দিক খান ও আবুল কালাম একসঙ্গে ঢাকায় এসেছি। সেই রোববার থেকে গতকাল রাত পর্যন্ত আমরা এই রাস্তার ফুটপাতেই ছিলাম। আমাদের থাকার কোনো জায়গা ছিল না ঢাকায়। আবার কাছে হোটেলে থাকার মতো টাকাও ছিল না।

এমনিতেই গত কয়েকমাস ধার করে চলছি। তাই আমরা সবাই রাস্তায় রাত কাটিয়ে দিলাম। আজ বুধবার আমরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে বলা হল, আগামী সোমবারের আগ পর্যন্ত কিছু হবে না। তাই আজ বাড়ি ফিরে যাব। সোমবারে আবার আসব ঢাকায়। শুধু আমরা নয়, আরো অনেকেই সারারাত রাস্তায় ছিলেন। কেউ বসে ছিলেন, কেউ ঘুমিয়েছিলেন।’

বাচ্চু হাওলাদার বলেন, ‘রোববার থেকে আজ পর্যন্ত মোট চারদিন আমরা পাঁচজনই এক কাপড়ে আছি। গোসল করারও সুযোগ পাইনি। রাতে ফুটপাতে ঘুমিয়েছিলাম, হঠাৎ বৃষ্টি এলো। ঘুম থেকে উঠে দৌড় দিয়ে নিজেকে বাঁচালাম।

খাওয়া-দাওয়ারও ঠিক নেই। সোনারগাঁও হোটেলের পেছনের অংশে একটা ভাতের দোকান আছে সেখানে আজ দুপুরে খেয়েছি। রাতে এবং দুপুরে দুবারই কলা-রুটি খেয়ে থেকেছি আমরা। ওখানে আরো কয়েকজন ছিলেন, যারাও আমাদের মতো শুয়ে-বসে ছিলেন। মানুষের কি যে কষ্ট, দেখা যায় না। অথচ, আমাদেরকেই বলা হয়, আমরা রেমিট্যান্স যোদ্ধা। এই দেশ আমাকে কী দিল?’

ক্রিকেট

শঙ্কার মুখে এবার বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ

শঙ্কার মুখে এবার বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ

যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে প্রথমবারের মতো সিরিজ খেলতে গেছে বাংলাদেশ। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য এই সিরিজটিকে ...

আইপিএলে থেকে বিদায় নিয়ে আবারও মুস্তাফিজকে নিয়ে মুখ খুললেন ধোনি

আইপিএলে থেকে বিদায় নিয়ে আবারও মুস্তাফিজকে নিয়ে মুখ খুললেন ধোনি

আইপিএলে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয় চেন্নাই এবং ব্যাঙ্গালুরো। প্লে অফের জন্য এই ম্যাচ জয়ের ...

ফুটবল

কোপার আগে ব্রাজিল শিবিরে নেমে এলো বড় দুঃসংবাদ

কোপার আগে ব্রাজিল শিবিরে নেমে এলো বড় দুঃসংবাদ

কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্ট শুরু হবে ২০ জুন। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের মরসুম থেকে আমরা মাত্র এক মাসেরও ...

এবছর আর্জেন্টিনার না, টুর্নামেন্টে যোগ দিচ্ছে জাপান

এবছর আর্জেন্টিনার না, টুর্নামেন্টে যোগ দিচ্ছে জাপান

বঙ্গবন্ধু কাবাডি কাপের চতুর্থ আসর শুরু হচ্ছে আগামী ২৬ মে। গতবারের আলোচিত দেশ এবারে আর্জেন্টিনা ...



রে