বাবার ধারের টাকা পরিশোধ করে লাশ হয়ে ফিরলেন মালয়েশিয়া প্রবাসী
আল আমিনের ম’রদেহ দেখেই আহাজারি শুরু করেন আল আমিনের পরিবারের সদস্যরা। আল আমিন মৌখালী গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে। ছয় বছর আগে শ্রমিক হিসেবে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান তিনি।
আল আমিনের ভগ্নিপতি আব্দুস সালাম বলেন, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ফুফাতো ভাই মোজাফফর হোসেনের বাসা থেকে ২৮ জুন নি’খোঁজ হন আল আমিন।করোনার পরিস্থিতির মধ্যে মান’সিকভাবে ভারসা’ম্যহীন হয়ে পড়েছিল সে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার স’ন্ধান মেলেনি। ১৩ জুলাই আল আমিন সড়ক দুর্ঘ’টনায় নি’হত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এরপর সেখানে একটি হাসপাতালের ম’র্গে তার ম’রদেহ পাওয়া যায়।
আল আমিনের বৃদ্ধ বাবা হোসেন আলী বলেন, সংসা’রে সচ্ছলতা ফেরানোর আশা নিয়ে ঋ’ণ করে ছেলেকে মালয়েশিয়ায় পাঠাই। সেখানে একটি সেলুনে কাজ করতো সে।ঋণের টাকা পরিশো’ধ করার পর আল আমিন বলেছিল আরও কিছুদিন বিদেশে কাজ করবে। ফিরে এসে দেশে ব্যবসা করবে। তবে সব শেষ হয়ে গেল।
মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোড়ল বলেন, বিদেশ থেকে আল আমিনের ম’রদে’হ আনতেআমার কাছ থেকে একটি প্রত্য’য়নপত্র নিয়েছিল তার পরিবার। আজ নিজ বাড়িতে তার দা’ফন সম্পন্ন হয়েছে।