অভিষেক ম্যাচে ৫ উইকেট শিকার করেছেন যে ১৪ বোলার
সালটা ১৯৮৪, তারিখ ৩১ মার্চ। মোরাতুয়ার, তাইরোনা ফার্নান্দো স্টেডিয়াম। নতুন এক ইতিহাসের সাক্ষী লিমিটেড ওভারের ক্রিকেট। এদিন ৮ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ডেব্যুটেন্ট প্রথম বোলার হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ৫ উইকেট তুলে নেন লঙ্কান মিডিয়াম পেসার ইউভাইস কারনাইন। এর ৪ বছর পর পার্থে সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই ২১ রান দিয়ে ৫ উইকেট দখলে নেন অভিষিক্ত অজি ক্রিকেটার টনি ডোডেমাইড।
প্র্রোটিয়াদের পক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ৫ উইকেট দখলের কৃতিত্ব কিংবদন্তি অ্যালান ডোনাল্ডের। ১০ নভেম্বর ১৯৯১ সালে, ২৯ রানে ভারতের বরি শাস্ত্রী, সঞ্জয় মাঞ্জরেকার, নবজ্যোৎ সিধু, শচীন টেন্ডুলকার ও প্রবীণ অ্যাম্রের উইকেট তুলে নেন এই পেসার। যদিও ওই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা পরাজিত হয়েছিল। একই গল্প ছিলো ২০০১ সালে শ্রীলঙ্কার চরিত্র বুদ্ধকার ক্ষেত্রেও। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬৭ রানে ৫ উইকেট নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি।
২০০৩ বিশ্বকাপটা ভুলে যেতে চাইবে বাংলাদেশ। সেবার কোন ম্যাচ জেতা তো দূরে থাক হারতে হয়েছিলো কানাডার সঙ্গেও। সে ম্যাচে কানাডার হয়ে অভিষেকে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন অস্টিন কপরিংটন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে একই কৃতিত্ব ফিদলে অ্যাডওয়ার্ডস দেখিয়েছিলেন একই বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ২০১১ সালে ব্রায়ান ভিটোরি হারাতেতে বাংলাদেশ বিপক্ষে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট।
২০১৪ সালে মিরপুরের বৃষ্টিস্নাত ওয়ানডেতে নিজের অভিষেক ম্যাচ ২৮ রানে ৫ উইকেট নেন তাসকিন। মামুলি টার্গেট চেজ করেও সেই ম্যাচে জেতা হয়নি টাইগারদের। ২০১৪ সালে আইরিশ ক্রিকেটার ক্রেগ ইয়ং স্কোটিশদের বিরুদ্ধে ৪৬ রানে নেন ৫ উইকেট।
বিশ্বকাপে বাজে আম্পেয়ারিং এর শোধ বাংলাদেশ নিয়েছিলো ঘরের মাঠে ভারতকে হারিয়ে। সেই সিরিজে অভিষিক্ত মুস্তাফিজ ৫০ রানে নেন ৫ উইকেট। ওই বছরই মিরপুরে কাগিসো রাবাদার শিকারে পরিণত হন তামিম, লিটন, সৌম্য, রিয়াদ ও মুশফিক।
১৬ জুন ম্যালাহাইডে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দাসুন সানাকা ডেব্যু ম্যাচে নেন ৫ উইকেট। আর ১৬ তে ইংলিশ ম্যান জ্যাক বল, ৫১ রানে দখল করেন ৫ উইকেট।
এই তালিকায় সবশেষ সংযোজন, জ্যান ফ্রাইলিংক। দক্ষিণ আফ্রিকান বংশদ্ভূত নামিবিয়ান এই ক্রিকেটার গেলোবছরের ২৭ এপ্রিল ওমানের বিপক্ষে ১৩ রানে দখল করেন ৫ উইকেট। যা এখন পর্যন্ত অভিষিক্ত ৫ উইকেট প্রাপ্ত বেলারদের সেরা বোলিং ফিগার।