মুশফিকের তাণ্ডব দেখল টাইগার ভক্তরা
সেই জের না কাটতেই হাসান মাহমুদের শিকার হয়ে ফেরত আসেন হার্ডহিটার রাইলি রুশো। তাতে চরম বিপাকে পড়ে দক্ষিণের দলটি। এখান থেকে নাজিবুল্লাহ জাদরানকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মুশফিকুর রহিম। প্রথমে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া গড়ে তোলেন তারা। মেলবন্ধন তৈরি হলে ঢাকা বোলারদের শাসাতে শুরু করেন এ জুটি। তবে হঠাৎ রানআউটে কাটা পড়েন জাদরান। বিদায়ের আগে ২৯ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩১ রান করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সিলেট পর্বের তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি ঢাকা-খুলনা। শুক্রবার সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুপুর ২টায় ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে বৃষ্টির কারণে ৪০ মিনিট দেরিতে গড়ায় খেলা। যাতে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন খুলনা অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
ফলে আগে ব্যাটিং করতে নামে ঢাকা। দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন আনামুল হক ও তামিম ইকবাল। তবে তারা বিচ্ছিন্ন হতেই চাপে পড়ে দলটি। দলীয় ৪৫ রানে মোহাম্মদ আমিরের বলে ব্যক্তিগত ২৫ রান করে ফেরেন তামিম। ড্যাশিং ওপেনারের পর শফিউল ইসলামের বলে দ্রুত ফেরেন আনামুল। সেই রেশ না কাটতেই আমিনুল ইসলামের কট অ্যান্ড বোল্ড হন মেহেদী হাসান। ফলে চাপে পড়ে ঢাকা।
বিপর্যয়ের মুখে দলের হাল ধরেন মমিনুল হক। আরিফুল হককে নিয়ে এগিয়ে যান তিনি। পথিমধ্যে চাপ কাটিয়ে ওঠেন তারা। ক্রিজে সেট হয়ে যান এ জুটি। তাতে ঢাকার রানের চাকাও ঘুরে দ্রুতগতিতে। তবে হঠাৎ পথচ্যুত হন মুমিনুল। আমিরের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। ফেরার আগে ৩৬ বলে ৩ চারে ৩৮ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন পয়েট অব ডায়নামো।