বাংলাদেশের হার নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন
তৃতীয় উইকে'টে মোহাম্ম'দ নইম ও মহম্ম'দ মিঠুন ৯৮ রান যোগ করেছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে ১৯.২ ওভারে ১৪৪ রানে দাঁড়ি পড়ে ইনিংসে। দীপক চাহারের বলে মিঠুন ফিরতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস।
বাংলাদেশ যে জেতার মতো জায়গায় ছিল, তা পরে স্বীকার করে নিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। তিনি বলেন, ‘এক সময়ে আট ওভারে ৭০ রান করতে হত বাংলাদেশকে। যা আমাদের পক্ষে মোটেই অনুকূল ছিল না।’
সেখান থেকেই ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়। পাঁচ নম্বরে নেমে প্রথম বলেই বোল্ড হন মুশফিকুর রহিম। মাহমুদুল্লাহ (১০ বলে আট) নিজেও রান পাননি।
আক্ষেপের সুরে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সুযোগ ছিল জেতার। ৩০ বলে যখন ৪৯ রান দরকার ছিল, তখনও জিততে পারতাম। কিন্তু শেষের দিকে পরপর উইকেট পড়ে যায়। আর সেই কারণেই হারতে হয়েছে। হতাশ লাগছে যে নইমের এত ভাল ইনিংস সত্ত্বেও আম'রা জিততে পারলাম না। যদি আম'রা এই ম্যাচ জিততাম, তবে তাতে নইমের কৃতিত্বই বেশি থাকত।’
এদিকে রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ১২ রানের মধ্যে ফিরে যান ওপেনার লিটন দাস ও তিনে নামা সৌম্য সরকার। দুই উইকেটই নিয়েছিলেন দীপক চাহার। এর পর ১৩তম ওভারে নইমকেও ফেরান দীপক। হ্যাটট্রিক-সহ শেষ পর্যন্ত ছয় উইকেট নেন তিনি। তাঁর দাপটেই তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ জিতে যায় ভারত। আর প্রথম বার এই ফরম্যাটে ভারতের বি'রুদ্ধে সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও হেরে যায় বাংলাদেশ।
অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ অবশ্য দলের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘পাঁচ ওভারে ৪৯ রান দরকার ছিল আমাদের। আম'রা জিতে ফিরতে পারিনি। তবে তার পরও ছেলেদের লড়াই স্প'র্শ করে গিয়েছে আমাকে। প্রথম টি-টোয়েন্টি জেতার পর আম'রা সেই ছন্দ মেলে ধরতে পারিনি। আপনারা যদি খেয়াল করেন তা হলে দেখবেন, আগের ম্যাচগুলোতেও আম'রা এই ধরনের ভুল করেছিলাম। আর বড় দলগুলো এই সব বিভাগে দারুণ। তবে আবার বলছি, রান তাড়া করার পক্ষে উইকেট যথেষ্ট ভাল ছিল। ভারতকে ১৭৪ রানে আ'ট'কে রেখে বোলাররা নিজেদের কাজটা ভালই সেরেছিল। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ভুলেই ম্যাচটা হাতছাড়া হয়েছে।’