১১ ওভারে ১৪৬ রান নিউজিল্যান্ডের
এই ম্যাচে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রন জানায় মরগান। কিন্তু মাঠে নেমে বৃস্টি ভেজা পিচে উল্টো ঝড় তুলে নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার গাপটিল ও মুনরো। প্রথম ওভার থেকেই তান্ডব চালান কলিন মুনরো ও মার্টিন গাপটিল। সেই তান্ডবে উড়ে যাওয়ার অবস্থা ইংলিশদের মাথার ছাঁদ।
স্যাম কুরানের করা প্রথম ওভারেই আসে ১৭ রান। মুনরো ৩ বলে করেন ১২। তিন বলে পাঁচ রান করেন গাপটিল। টম কুরানের করা দ্বিতীয় ওভারে পুরো ২০ রান। এই ২০ রানের পুরোটাই আসে গাপটিলের ব্যাট থেকে। দুটি ছক্কা ও একটি চারের মার ছিল এই ওভারে।
তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসেন ক্রিক জর্ডান। এই ওভারে গাপটিল আর মুনরো মিলে তুলেন ১৮ রান। দুটি ছক্কা ও একটি চারের মার ছিল এই ওভারেও। ৩ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের রান দাড়ায় ৫৫।
চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে আসেন আদিল রশিদ। তার এই ওভারেও দুটি ছক্কা মারেন গাপটিল। সব মিলিয়ে ১৫ রান আসে ওভারটি থেকে। পঞ্চম ওভারে বলিংয়ে আসেন সাকিব মাহমুদ। এই ওভারে একটি ছক্কা আর একটি চারে আসে ১৩ রান। আর এই ওভারেই নিজের অর্ধশতক পূর্ণ করেন গাপটিল। মাত্র ১৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি।
পাঁচ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ দাড়ায় বিনা উইকেটে ১৩ রান। গাপটিলের সাথে মুনরো ১১ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন।
৬ষ্ঠ ওভারে গিয়ে অবশেষে সফলতা পায় ইংল্যান্ড। আদিল রশিদের প্রথম বলেই আউট হন গাপটিল। শেষ পর্যন্ত সেই ৫০ রানেই ফিরেন এই তারকা। তিনটি চার ও পাঁচটি ছক্কা মেরেছিলেন এই তারকা। গাপটিলের বিদায়ের পর মাঠে নামেন গ্যান্ডহোম। তবে এই ওভারে মাত্র ৫ রান নিতে পারে নিউজিল্যান্ড।
পরের ওভারে আবারও দারুণ বোলিং করেন সাকিব মাহমুদ। ওই ওভারে বোলিংয়ে এসে চতুর্থ বলেই তুলে নেন গ্র্যান্ডহোমের উইকেটটি। মাত্র ৬ রান করেই আউট হন এই তারকা। এই ওভারে আসে মাত্র ৭ রান।
এই দুই ওভার পরই আবার ঝড়। এবার সেইফার্ট। গ্র্যান্ড হোমের পর ব্যাটিংয়ে নামা এই তারকা আদিল রশিদকে আবার দুইবার উড়িয়ে বাউন্ডারি ছাড়া করেন। সেই ওভারে আসে ১৫ রান। আর তাতেই পূর্ণ হয় দলীয় সেঞ্চুরি। ৮ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১১০ রান।
নবম ওভারে ক্রিস জর্ডানের বলে একটি ছক্কা সহ আসে আরও ১০ রান। তবে দশম ওভারে গিয়ে স্যাম কুরানের বলে আউট হয়ে যান মুনরো। ২১ বলে ৪৬ রান করে আউট হন এই তারকা।
মুনরো বিদায় নিলেও ওই ওভারেই ঝড় তুলেন সেইফার্ট। দুটি ছক্কা এবং একটি চার মারেন ওই ওভারে। সব মিলিয়ে কেবল বাউন্ডারির কল্যানেই আসে ১৬ রান।
শেষ ওভারে বোলিংয়ে আসেন টম কুরান। এই ওভারের প্রথম বলে এক রান নেন নিশাম। পরের বলে গিয়েই ছক্কা মারেন সেইফার্ট। তবে পরের বলেই আউট হন তিনি। আউট হওয়ার আগে মাত্র ১৬ বলে ৫টি ছক্কা আর ১টি চারে করেন ৩৯ রান।
এরপর ব্যাটিংয়ে নামেন রস টেলর। প্রথম বলে দুই রান নেন তিনি। পরের বলে রান নিতে ব্যর্থ হন। শেষ বলে দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হন। সব মিলিয়ে ওই ওভারে আসে ১০ রান।
এতে করে নিউজিল্যান্ডের দলীয় সংগ্রহ দাড়ায় ১১ ওভার শেষে ১৪৬ রান। জিততে হলে ইংল্যান্ডকে ১৪৭ রান করতে হবে ১১ ওভারে।