পদত্যাগ করার কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছিনা : দুর্জয়
তারা আমাদের কাছে এসেছে আর আমরা তাদের সমস্যা বোর্ডকে জানাইনি এমনটা হয়নি। ফলে আমরা পদত্যাগ করার কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছিনা। দুর্জয় আরো বলেন, একটা সময় এমন ছিল যে খেলোয়াড়রা বোর্ডে আসতে পারবে না। এখন খেলোয়াড়রা ব্যক্তিগত কাজে প্রেসিডেন্টের কাছে সরাসরি আসতে পারে। আমাদের কাছেও আসে। আমি মনে করি আমরা চেষ্টা করেছি হয়তো সকলের মন মত হয়নি। তারা পদত্যাগ চাইতেই পারে। তবে এর একটা প্রসেস আছে। আর আমরা এইটা আঁকড়ে ধরেও থাকতে চাই না।
ভবিষ্যতে কোয়াবের দায়িত্ব পরিবর্তনের ব্যাপারে দুর্জয় বলেন, সব কিছুই সময়ের সঙ্গে বদলায়। হয়তো আমার সঙ্গে মিলছে না। আমিও চাই নতুন নেতৃত্ব আসুক। তবে তা প্রসেস মেইনটেইন করে আসতে হবে। চাইলেও হয় না।
কোয়াবের পদ ও বিসিবিতে পদ একসঙ্গে থাকার ব্যাপারে জানতে চাইলে দুর্জয় বলেন, কোয়াবের এমন কোন নিয়ম নাই যে কোয়াবে থাকলে বিসিবিতে থাকতে পারব না। তাহলে ফিকাহ ও আমাদের বাধা দিত। কারণ আমরা ফিকাহর মেম্বার।
এগারো দফা দাবীর ক্ষেত্রে বিসিবির পক্ষেই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কোয়াব। এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য, খেলাটা মাঠে থাকুক। বোর্ড প্রেসিডেন্ট বলেছে ডোর ইজ ওপেন। আমরা চাই সবাই ক্যাম্পে যোগ দিক। অস্ট্রেলিয়ার মত দেশও বোর্ডের সঙ্গে বার্গেনিং করেছে তবে তা খেলা বন্ধ করে নয়। খেলা চালু রেখেও আলোচনা করা যায়।
সহ-সভাপতি খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, আমরা বোর্ডে আছি বলেই অনেক কিছু বোর্ড থেকে আদায় করে আনতে পারি। আর আমরা কোয়াবের সঙ্গে আজকে থেকে না। কোয়াব যখন শিশু তখন থেকে এর সঙ্গে আমরা জড়িত। আমরা গত তিন বছর থেকে খেলোয়াড়দের কোয়াবে ডাকছি। বাট তারা এসে নিজেদের সমস্যা জানাচ্ছে। কিন্তু কেউ দায়িত্ব নিতে চাচ্ছে না।
দাবি না মানা পর্যন্ত ক্রিকেটে না ফেরার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন ক্রিকেটাররা। কোয়াবের এমন বক্তব্য বিদ্যমান পরিস্থিতিকে আরো কঠিন করে দিলো।