৩ বছর পর আবারও সেই রেকর্ড গড়লো মাহমুদউল্লাহ
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ২৯০ রানে অল-আউট হয় চট্টগ্রাম বিভাগ। জবাবে তৃতীয় দিন শেষে ৭ উইকেটে ৩৪৯ রান করেছিল ঢাকা মেট্রো। ২০১ রানে সপ্তম উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেছিলেন জাবিদ হোসেন ও শহিদুল ইসলাম। তৃতীয় দিন শেষে জাভিদ ৮১ ও শহিদুল ৮২ রানে অপরাজিত থাকেন।
কিন্তু চতুর্থ ও শেষ দিন নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেননি তারা। জাবিদ ৮৫ ও শহিদুল ৮৩ রানে আউট হন। ফলে বাকী ৩ উইকেট থেকে মাত্র ৫ রান যোগ করে ৩৫৪ রানে অলআউট হয় ঢাকা মেট্রো। অষ্টম উইকেট জুটিতে ১৫১ রান যোগ করে দলকে প্রথম ইনিংসে লিড এনে দিয়েছিলেন জাবিদ ও শহিদুল। ইনিংসে চট্টগ্রাম বিভাগের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদি।
প্রথম ইনিংসে ৬৪ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ভালো সূচনা পায় চট্টগ্রাম বিভাগ। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও পিনাক ঘোষ ১০২ রানের জুটি গড়েন। ৫৭ রান করে মাহমুদউল্লাহর বলে ফিরেন পিনাক। পরের ডেলিভারিতেই বিদায় ঘটে অধিনায়ক মুমিনুল হকের। শূন্য হাতে ফিরেন মুমিনুল। কিছুক্ষণ পর থামেন আরেক ওপেনার তামিম ইকবালও। ১১২ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায়১০ ৪৬ রানে আউট হন তিনি। তামিমের পর দ্রুত বিদায় ঘটে মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের। তিনিও শূন্য রানে আরাফাত সানির বলে ফিরেন।
ফলে ৬ রানের ব্যবধানে প্রথম ৪ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। ২১ বলের ব্যবধানে ৪ উইকেট পতনের পর প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন তাসামুল হক ও মাসুম খান। উইকেটে সেট হয়ে বড় জুটিই গড়েন তারা। দুজনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় চট্টগ্রাম পেয়ে যায় ২শ রান। শেষ পর্যন্ত দলীয় ২২৩ রানে ভাঙে তাদের জুটি। ১০৬ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৩ রান করে আউট হন তাসামুল। তার আউটের কিছুক্ষণ পরই ম্যাচটি ড্র মেনে নেয় দুই দল। ১২৩ বলে ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ৬১ রান করেন মাসুম।