| ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

শিরোনাম

এবার মুস্তাফিজকে নিয়ে অ-বাস্তব মন্তব্য করলেন সৌরভ গাঙ্গুলি*** ব্রেকিং নিউজ ; জাতীয় দলে আর কখন ফিরছেন না তামিম*** অবশেষে মুস্তাফিজের দেশে ফেরা নিয়ে কান্নার স্বরে মুখ খুললেন ধোনি*** মুস্তাফিজ ২, পাথিরানা ২, তুষার দেশপাণ্ডে ৪, এক ম্যাচেই উল্টে গেল পার্পল ক্যাপের হিসাব, দেখে নিন মুস্তাফিজের অবস্থা*** ১৯ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ, এক ম্যাচ পরেই দেশে ফিরবেন ; কান্নার স্বরে ম্যাচ শেষে যা বললেন চেন্নাই অধিনায়ক*** হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ শেষে একি বললেন মুস্তাফিজুর রহমান*** হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে ২ উইকেট নিয়ে আইপিএলে একমাত্র ক্রিকেটার হিসাবে যে রেকর্ড গড়লেন মুস্তাফিজ***

কোনও কারনে জুম্মার নামাজ ছুটে গেলে কী করবেন

২০১৯ আগস্ট ৩০ ১৪:০৩:৩৯
কোনও কারনে জুম্মার নামাজ ছুটে গেলে কী করবেন

পবিত্র কুরআনে সূরা আল জুমায় ইরশাদ করা হয়েছে, যখন সালাতের জন্য জুমার দিবসের আহবান জানানো হয়, তখনই আল্লাহকে স্মরণের উদ্দেশে চলে এসো এবং ব্যবসায়িক লেনদেন বন্ধ করে দাও। এটা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা জানতে।

জুমার দিনের বৈশিষ্ট্য:

ইসলামি শরিয়তের বিধানে জুমার দিনের মাহাত্ম্য সীমাহীন। এই দিন মানব জাতির আদি পিতা হজরত আদম আ. এর দেহের বিভিন্ন অংশ সংযোজিত বা জমা করা হয়েছিল বলেই দিনটির নাম জুমা রাখা হয়েছে। জুমার দিনকে আল্লাহপাক সীমাহীন বরকত দ্বারা সমৃদ্ধ করেছেন। এটি সপ্তাহের সেরা দিন। হাদিস শরিফের বর্ণনা অনুযায়ী এই বরকতময় দিনটি আল্লাহপাক বিশেষভাবে উম্মতে মুহাম্মদিকে সা. দান করেছেন।

নবী করিম সা. ইরশাদ করেন, সর্বাপেক্ষা উত্তম ও বরকতময় দিন হচ্ছে জুমার দিন। এই পবিত্র দিনে হজরত আদম আ. কে সৃষ্টি করা হয়েছিল এবং এই দিনে তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়। (মুসলিম শরিফ)

জুমার নামাজের ফজিলত:

আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, ‘জুমার দিনে মসজিদের দরজায় ফেরেশতারা দাঁড়িয়ে যান; পর্যায়ক্রমে লেখতে থাকেন প্রথমে আগমনকারীদের ফজিলত। সর্বপ্রথম আগমনকারী একটি উট কুরবানি করার সওয়াব লাভ করেন, পরের জন গরু, তারপরের জন দুম্বা, তারপরের জন মুরগি এবং তারপরের জন ডিম কুরবানি দেয়ার সওয়াব লাভ করেন। অতপর ইমাম যখন মিম্বারে আসেন, তখন তারা খাতা গুটিয়ে রেখে মনযোগ দিয়ে খুৎবা শুনেন। (বুখারি : ৮৭৬, মিশকাত : ১৩৮৪)

জুমার নামাজ না পড়লে:

জুমার নামাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এ নামাজ ছেড়ে দিলে হাদিসে ভয়াবহ ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ জন্য প্রতিটি মুসলিমকে অবশ্যই জুমার নামাজ গুরুত্বসহ পড়া উচিত।

জুমার নামাজ প্রত্যেক বালেগ পুরুষের জন্যই ওয়াজিব। হাদিসে এসেছে, হযরত হাফসা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, প্রত্যেক (প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ) মুসলমানের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ওয়াজিব- অপরিহার্য কর্তব্য। (সুনানে নাসায়ী) রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, যে ব্যক্তি অবহেলা অলসতা করে পর পর তিন জুমা নামাজ ছেড়ে দিল, আল্লাহ তার অন্তরে মোহর মেরে দিবেন। (আবু দাউদ)

আরেক হাদিসে রসূলুল্লাহ সা. বলেন, যে ব্যক্তি কোনো ওজর এবং অনিষ্টের ভয় ছাড়া জুমার নামাজে অংশ গ্রহণ করে না, মুনাফিকের এমন দফতরে তার নাম লিপিবদ্ধ করা হয়, যা কখনো মোছা বা রদবদল করা হয় না।

জুমার এক রাকাত ছুটে গেলে:

কারো জুমআর এক রাকআত ছুটে গেলে বাকি আর এক রাকআত ইমামের সালাম ফেরানোর পর উঠে পড়ে নিলে তার জুমুআহ হয়ে যাবে। অনুরুপ কেউ দ্বিতীয় রাকআতের রুকূর আগে থেকে পেলেও ওই রাকআত এবং তার সাথে আর এক রাকআত পড়লে তারও জুমুআহ হয়ে যাবে। কিন্তু যদি কেউ দ্বিতীয় রাকআতের রুকূ শেষ হওয়অর পর জামাআতে শামিল হয়, তাহলে সে জুমআর নামাজ পাবে না। এই অবস্থায় তাকে যোহরের ৪ রাকআত আদায়ের নিয়তে জামাআতে শামিল হয়ে ইমামের সালাম ফিরার পর ৪ রাকআত ফরজ পড়তে হবে। (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ, সৌদি উলামা-কমিটি ১/৪১৮, ৪২১)

আর কেউ যদি জুমার নামাজ না পায় বা মসজিদে গিয়ে দেখে জুমা শেষ হয়ে গেছে তবে তাকে জোহর নামাজ পড়তে হবে। কারণ জামাআত ছাড়া জুমার নামাজ হয় না।

হাদিসে এসেছে, ইবনে মাসঊদ রা. বলেন, যে ব্যক্তি জুমার এক রাকআত পেয়ে যায়, সে ব্যক্তি যেন আর এক রাকআত পড়ে নেয়। কিন্তু যে (দ্বিতীয় রাকআতের) রুকূ না পায়, সে যেন জোহরের ৪ রাকআত পড়ে নেয়।’ (ইবনে আবী শাইবা, ত্বাবারানী, বায়হাকী, আলবানী : ৬২১)

কোন ইমাম সাহেব যদি বিনা ওজুতে জুমুার নামাজ পড়িয়ে নামাজের শেষে মনে হয়, তাহলে মুক্তাদির নামাজ সহিহ হয়ে যাবে। আর ইমাম ওই নামাজ কাজা করতে ৪ রাকআত জোহর পড়বেন। (আল-মুন্তাকা মিন ফাতাওয়াল ফাওয়া : ৩/৬৮)

খুতবা না শুনলে:

জুমার খুতবা অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। জুমার খুতবা হলো ওয়াজিব। খুতবা চলাকালীন সময় কোন প্রকার কথা বলা যাবে না। এমনকি কাউকে কথা বলতে দেখে ‘চুপ কর’ এ কথাও বলা যাবে না। কারণ, হাদিসে এ ব্যাপারে নিষেধ এসেছে। আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘ইমামের খুতবা দেয়া অবস্থায় তুমি যদি তোমার সাথীকে বল, তুমি চুপ কর, তাহলে তুমি অনর্থক কথা বললে’।

ইমাম আহমদ তার বর্ণনায় হাদিসে আরও বর্ধিত করেন, অর্থাৎ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি কোন অনর্থক কর্ম করল, তার জন্য ওই জুমায় আর কিছু রইল না।

অনেকে খুতবার সময় নামাজ পড়েন। এটাও হাদিসে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ যে নামাজ পড়া হচ্ছে সেটি সুন্নত। আর খুতবা শোনা হলো ওয়াজিব। সুতরাং খুতবা শুরু হয়ে গেলে সেটাই শুনতে হবে। সে ক্ষেত্রে সুন্নতগুলো পড়ে পড়তে হবে।

ক্রিকেট

ব্রেকিং নিউজ ; জাতীয় দলে আর কখন ফিরছেন না তামিম

ব্রেকিং নিউজ ; জাতীয় দলে আর কখন ফিরছেন না তামিম

এই বছর আর একটা বিশ্বকাপ কড়া নাড়ছে। গতবছর ভারত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল খুবই বাজে ফর্ম ...

এবার মুস্তাফিজকে নিয়ে অ-বাস্তব মন্তব্য করলেন সৌরভ গাঙ্গুলি

এবার মুস্তাফিজকে নিয়ে অ-বাস্তব মন্তব্য করলেন সৌরভ গাঙ্গুলি

মোস্তাফিজের দুই উইকেটে বিশাল বড় জয় পেয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। আর তাই তো লাইভে এসে ...

ফুটবল

অবশেষে নিজের অবসরের সময় জানিয়ে দিলেন মেসি

অবশেষে নিজের অবসরের সময় জানিয়ে দিলেন মেসি

লিওনেল মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলার। তার বয়স এখন প্রায় ৩৭ বছর। অনেকেই তার অবসরের কথা ...

ব্রেকিং নিউজ ; বাংলাদেশে আসছেন মেসি

ব্রেকিং নিউজ ; বাংলাদেশে আসছেন মেসি

লিওনেল মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের একজন। বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলারের বাংলাদেশে আগমনের সম্ভাবনা দেখছেন বাংলাদেশের যুব ও ...



রে