আফগানদের স্পিন নিয়ে অতটা ভয়ের কারণ নেই
‘আমাদের স্পিনারদের অভিজ্ঞতা অনেক। বিশেষ করে সাকিব ভাই প্রায় ১৩-১৪ বছর ক্রিকেট খেলে ফেলেছে, সফল একজন খেলোয়াড়, বিশ্বমানের বোলার ও অলরাউন্ডার। তাইজুল ভাই হয়ত আর একটা উইকেট পেলে টেস্টে একশ উইকেট হয়ে যাবে। আমারও তিন বছর টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে। এই সময়টায় যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, আমি বলব ওদের থেকে আমাদের টেস্ট ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা ভালো।’
‘ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটের চাইতে টেস্ট অনেক ভিন্ন। যেটা (সাদা বলের ক্রিকেটে) ওদের স্পিনাররা করে আসছে, যেমন- ওরা ওয়ানডে, টি-টুয়েন্টিতে রান চাপিয়ে বল করে বা বিভিন্ন জায়গা বল করে থাকে। এটার জন্য হয়ত ব্যাটসম্যান চার্জ করে থাকে। টেস্ট ক্রিকেটে কিন্তু ওরকম কিছু নেই। যে জোর করে মারা বা চার্জ করে খেলা। যতক্ষণ ভালো করবে ততক্ষণ সমীহ পাবে।
একটা বল খারাপ করলে ওটাই মারবে। আর ধৈর্য্য সহকারে বোলার কতক্ষণ বল করতে পারে? এটাই, বোলারের ধৈর্য্য। ওরা কতটুকু করবে বা কতটুকু প্রস্তুতি নিয়ে আসবে সেটা তারাই ভালো জানে। তবে আমি মনে করি ওদের থেকে টেস্টে আমরা অনেক এগিয়ে আছি। শতভাগ দিতে পারলে ফলাফল আমাদের দিকেই আসবে।’
মিরাজের মূল শক্তির জায়গা বোলিং। অথচ অনুশীলনে আঙুলে চোট পাওয়ায় বল করতে পারছেন না এ অফস্পিনার। সাকিব-তাইজুলদের সঙ্গে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে বল করতে হলে দ্রুতই পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠতে হবে তাকে। আগামী বুধবার ঘোষণা করা হতে পারে ১৪ সদস্যের স্কোয়াড। ১৯ টেস্টে ৮৬ উইকেট শিকার করা এ তরুণ স্পিনারকে দলে থাকতে হলে পেতে হবে ফিটনেসের ছাড়পত্রও।-চ্যানেলআইঅনলাইন