হঠাৎ মুস্তাফিজের কী হলো
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একজন ন্যাশনাল কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম মনে করেন, ‘যে স্কিল শুরুতে আমরা দেখেছি, সেখানে কিছুটা ঘাটতি হয়েছে – ঘাটতির কারণে ব্যাটসম্যানরা খুব সহজে তাকে খেলতে পারছে। কিন্তু তার দ্বিতীয় কোনো পরিকল্পনা আছে বলে আমার মনে হয় না। খুব ওয়ান ডাইমেনশনাল – ব্যাটসম্যান যখন ওকে খেলে ফেলে, তখন তার ডিফেন্সের পরিকল্পনা কী, সেটা পরিষ্কার না।’
আইপিএলে এক সময় খেলেছেন মুস্তাফিজ। শুরুতে ভালো করেছিলেন, তবে বাদ পড়তেও খুব একটি বেশি সময় লাগেনি। আইপিএল কি মুস্তাফিজুর রহমানের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলেছে? এ ব্যাপারে নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ‘আসলে স্কিলটাই মূল ব্যাপার। যে বোলার আমরা শুরুতে দেখেছি মুস্তাফিজ ঠিক সেই বোলার আর নেই। এটাই মূল কারণ। ভালো খেললে তো বাদ পড়ার কারণ নেই, আর বাদ পড়লে খারাপ লাগবেই। কিন্তু আইপিএলে যে ধরণের ক্রিকেটাররা একাদশের বাইরে থাকেন, তারাও বড় প্লেয়ার, তখন নিজের বাদ পড়াটা তত বড় করে দেখার প্রয়োজন হয় না।’
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান কী বলছে?
ত্রিদেশীয় সিরিজের পরিসংখ্যান তো বলাই হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ২০শে ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৩০ রান তোলে। এই ম্যাচেও মুস্তাফিজ ২টি উইকেট নেন। কিন্তু রান দেন ১০ ওভারে ৯৩, প্রতি ওভারে ৯.৩ রান করে।
ওই একই সিরিজে মুস্তাফিজ প্রথম দুটো ম্যাচে অবশ্য তুলনামূলকভাবে বেশ কম রান দেন, এক ম্যাচে ৯ ওভারে ৪২, আরেক ম্যাচে ৮ ওভারে ৩৬ রান। তবে এর ঠিক আগে জিম্বাবুয়ে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে দুটি ওয়ানডে সিরিজে পাচঁটি ম্যাচ খেলেন মুস্তাফিজুর রহমান, যেখানে ৫ ম্যাচে ৭টি উইকেট নেন তিনি। ওই ম্যাচগুলোতে মোট ৪৮ ওভার বল করে ৪.০৬ গড়ে ১৯৫ রান দেন। যা মুস্তাফিজের নামের সঙ্গে মোটেও মানানসই নয়।