শিগগিরই সন্তান নেওয়ার প্রশ্নের জবাবে যা বললেন রুবেল হোসেন
কখন থেকে ক্রিকেট খেলার প্রতি আপনার আগ্রহ শুরু হয়?
রুবেল হোসেন: এটা তো অনেক আগের প্রশ্ন করছেন। আসলে ক্রিকেট খেলতাম অনেক ছোটবেলা থেকে। যখন আমি ক্রিকেট খেলাটা বুঝা শুরু করেছি তখন থেকেই ক্রিকেট খেলি। তখন আসলে ফাইভ স্টার বল আর টেনিস বল দিয়েই খেলতাম।
কীভাবে এতো দূর আসলেন? রুবেল হোসেন: আমি আসলে গ্রামীনফোন পেসার হান্ট থেকেই এই লেবেলে আসি। তার আগে আমি খুলনায় প্রিমিয়ার লিগ খেলতাম। বাগেরহাটে লিগ খেলতাম ঢাকা থার্ড ডিভিশন খেলতাম। আমি মূলত গ্রামীনফোন পেসার হান্ট থেকেই জাতীয়ব পর্যায়ে আসা।
যখন প্রথম জাতীয় দলে সুযোগ পেলেন তখনের অনুভূতিটা কেমন ছিল?রুবেল হোসেন: যখন আমি জাতীয় দলে ডাক পাই তখন আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে। জাতীয় দলের খেলা একটা গর্বের বিষয় সবার তো আর জাতীয় দলে খেলার সুযোগ হয় না। আপনি দেখবেন প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন থাকে ইচ্ছা থাকে। আমারও তো সপ্ন ছিলো ইচ্ছা ছিলো। তাই আমি যখন জাতীয় দলে ডাক পাই তখন আমার খুবই ভালো লাগছে।
দেশের একজন সেরা খেলোয়াড় হিসেবে জাতীয় দল নিয়ে আপনার স্বপ্ন কি?রুবেল হোসেন: স্বপ্ন বলতে আসলে দেখেন জাতীয় দলে আমি ১০ বছর ধরে খেলছি। আমি চাই আমি যখন খেলা ছেড়ে দিবো মানুষ যাতে বলে রুবেল যতদিন খেলেছে ভালো ক্রিকেট খেলেছে। আমার নামটা মানুষের মুখে মুখে শুনতে চাই আর যতদিন খেলবো ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই। আর ভালো ভালো ম্যাচ বাংলাদেশ দলকে উপহার দিবো।
আগামী বিশ্বকাপ নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কি?রুবেল হোসেন: বিশ্বকাপ নিয়ে আমার পরিকল্পনা ভিন্ন। বিশ্বকাপটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি যদি বিশ্বকাপে সুযোগ পাই তাহলে ভালো খেলার চেষ্টা করবো আর আমি চাইবো বাংলাদেশের সামনে যদি ঐ রকম সুযোগ আসে ম্যাচ জিততেই হবে আমি সেই ম্যাচ জিতার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে চাই। সর্বশেষ ২০১৫ সালে আমি একটা ম্যাচ জয়ের ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছিলাম। এরকম যদি হয় আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। অবশ্য বিশ্বকাপে সকল ফাস্ট বোলারই চায় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারে মধ্যে তার নাম থাকতে। আমিও চাইবো কয়েক জনের ভিতরে যাতে আমার নামটা থাকে।
অবসর সময় কিভাবে কাটান?রুবেল হোসেন: অবসর সময় মূলত আমি বাসায়ই থাকি। আমাদের মূলত এক দুই দিন পর পর খেলা থাকে তো তাই বাসায় ফ্যামিলিকেই সময় দেই।
সংসার জীবন কেমন কাটছে?রুবেল হোসেন: আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো।
খুব শীঘ্রই সন্তান নেওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে কি?রুবেল হোসেন: এটা আসলে আল্লাহপাকের ইচ্ছা আল্লাহপাক যেদিন কবুল করবেন তখনিই হবে।
আগামী বিশ্বকাপক নিয়ে দলকে কি পরামর্শ দিবেন?রুবেল হোসেন: আমার কাছে যেটা মনে হয় আমরা সবাই যদি আমাদের নিজেদের সেরাটা দিতে পারি তাহলে হয়তোবা আমরা ভালো একটা রেজাল্ট করতে পারবো। যেহুতে সেখানে আমাদের কন্ডিশন খেলা না। ঐখানে টোটালি ডিফারেন্ট একটা কন্ডিশন। অবশ্য আমারা ঐখানে অনেক আগেই যাবো তাহলে সব কিছুর সাথে আমারা আমাদের মিলিয়ে নিতে সুযোগ পাবো। আর আমাদের খেলোয়ার যদি মাঠে সেরাটা দিতে পারে তাহলে আমাদের টিমটা ভালো রেজাল্ট পাবে। আমাদের পেস বোলাররা যারা যাবে যারা সুযোগ পাবে তাদের জন্য অনেকটা চ্যালেঞ্জিং হবে।