আগামীকাল কোলকাতার বিপক্ষে মাঠে নামছে সাকিবের হায়দ্রাবাদ
স্বাভাবিকভাবেই ইডেনের পিচ ও পরিবেশ-পরিস্থিতি হাতের তালুর মতো চেনা দুই বাংলা তারকার। যদিও নাইটদের বিরুদ্ধে দু’জনের একসঙ্গে মাঠে নামার কোনও সম্ভাবনা নেই। প্রথম একাদশে সুযোগ পাবেন একজন। অন্যজনকে বসতে হবে রিজার্ভ বেঞ্চে।
শুধু ঋদ্ধি ও শ্রীবৎসই নন, ইডেনের প্রতিটা ঘাসের সঙ্গে পরিচয় রয়েছে সানরাইজার্সের আরো তিন তারকার। এরা অন্য কেউ নন, বরং একদা কেকেআরের হয়ে ইডেন মাতানো তিন প্রাক্তন নাইট তারকা ইউসুফ পাঠান, মনীশ পান্ডে ও সাকিব আল হাসান।
২০১১ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত দীর্ঘ সাতটি মৌসুম কেকেআরের হয়ে মাঠে নেমেছেন ইউসুফ। গৌতম গম্ভীরের পর ইউসুফই নাইট রাইডার্সের হয়ে সব থেকে বেশি ম্যাচ খেলা ক্রিকেটার। ইউসুফের মতো গম্ভীরও সাতটি মরশুমে মাঠে নেমে ১০৮টি ম্যাচে নাইটদের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন। কলকাতার হয়ে ইউসুফ খেলেছেন ১০৬টি ম্যাচ।
২০১৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত চারটি মরশুমে মনীশ পাণ্ডে কেকেআরের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ৫৫টি ম্যাচে। সাকিব ছ’টি মরশুমে কেকেআরের হয়ে খেলেছেন ৪৩টি ম্যাচ।
ঋদ্ধি ও শ্রীবৎস শুধু বাংলার ক্রিকেটার হিসাবেই নয়, কেকেআরের জার্সি গায়ে চাপানোর নিরিখেও কলকাতার ঘরের ছেলে। ২০০৮ থেকে ২০১০ তিনটি মৌসুমে ঋদ্ধিমান কেকেআরের হয়ে ৩৩ টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০১১ সালে শ্রীবৎস নাইটদের হয়ে মাঠে নেমেছেন ৫টি ম্যাচে।
সুতরাং, কেকেআরের অন্দরমহল ও ইডেন সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে পাঁচ সানরাইজার্স তারকার। রবিবাসরীয় ইডেনে এঁদের মধ্যে চারজনের মাঠে নামার সম্ভাবনা প্রবল। চেনা প্রতিপক্ষ ও পরিচিত পরিবেশে নাইটদের বিরুদ্ধে অপ্রতিরোধ্য হয়ে দাঁড়াতে পারেন এদের যে কেউ। তাই যদি হয় তবে তাকে কেকেআর ঘরের শত্রু বলে বিবেচনা করতে পারে বটে। যদিও নাইটরা স্বেচ্ছায় একদা দল থেকে ছেঁটে ফেলেছে এই ঘরের ছেলেদের।