তিন বাংলাদেশী স্পিনারের বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি পেল বিসিবি
বোলিংয়ে ত্রুটি ধরা পড়া তিন জনই স্পিনার। তারা হলেন ঢাকা ডায়নামাইটসের আলিস আল ইসলাম, রংপুর রাইডার্সের নাহিদুল ইসলাম ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সঞ্জিত সাহা দ্বীপ।
রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে বিপিএলে নিজের অভিষেক ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন ডায়নামাইটসের স্পিনার আলিস। ম্যাচের পরে রংপুর রাইডার্সও অভিযোগ করেছিল আলিসের সন্দেহজনক বোলিং নিয়ে। তখন অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় পরে আরো কয়েকটি ম্যাচে খেলেছেন তিনি। কিন্তু পরে তার অ্যাকশনে ত্রুটি পেয়েছে রিভিউ কমিটি। তাই বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির কাছে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েই আবার প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরতে হবে তাকে। উল্লেখ্য, ঢাকা ডায়মাইটসের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন তুলে এনেছিলেন এই স্পিন প্রতিভাকে। আলিস ইসলামকে ডায়নাইটস স্কোয়াডের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল কোচের ইচ্ছাতেই।
এবারের বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলেছিলেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার নাহিদুল ইসলাম। যদিও আলিসের মতো নজরকাড়া পারফরম্যান্স উপহার দিতে পারেননি তিনি। বেশ ভালো ইকোনমি বজায় রেখে বোলিং করে ও মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করে দলের জয়ে রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। নাহিদুলের বোলিং অ্যাকশনেও ত্রুটি ধরা পড়েছে।প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বেঞ্চের ক্রিকেটারদের সুযোগ দেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সুযোগ পেয়েই ভালো বোলিং করেন দলটির তরুণ ক্রিকেটার সঞ্জিত সাহা দ্বীপ। ভিক্টোরিয়ান্সদের হয়ে ফাইনালসহ ৩টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
মেহেদি হাসান মিরাজ-সাইফউদ্দিনদের সাথে ২০১৬ বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত যুব বিশ্বকাপ খেলেছিলেন এই সঞ্জিত সাহা। অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময়ও বোলিং অ্যাকশনের কারণে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন এই অফস্পিনার। অ্যাকশন শুধরে আবার মাঠের খেলায় ফেরেন তিনি। কিন্তু আবারো অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়ায় মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে।