অল আউট হলো টাইগাররা,দেখুন কত রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ
বিরতির পর নেমেই ভূল শটে নিজের উইকেট বিলিয়ে দেন লিটন দাস। আউট হওয়ার আগে ৫৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। লিটনের পর ১৮ রান করে ফিরে যান মিরাজও।
এ দুজন ফিরে গেলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট করে যান মাহমুদউল্লাহ। দূর্দান্ত এক সেঞ্চুরিও তুলে নেন তিনি। সেঞ্চুরির পর উদযাপনটাও ছিল তার দেখার মতো।
শুধু সেঞ্চুরিই নয় ছাড়িয়ে গেছেন নিজেকেও। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসা ১৩৬ রানের ইনিংস ছিল ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১১৫ রান করেছিলেন তিনি। তার এই সংগ্রহে শেষ পর্যন্ত ১০ উইকেট হারিয়ে ৫০৮ রানে থামে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
এর আগে ২য় দিনের প্রথম ওভারে কেমার রোচকে একটি, পরের ওভারে রস্টোন চেজকে একটি, দিনের চতুর্থ ওভারে পরপর তিন বলে তিনটি চার মারেন সাকিব। দিনের শুরুর ৪ ওভারেই ২৭ রান পেয়ে যায় বাংলাদেশ। যার মধ্যে ২৩ রানই করেন সাকিব। চার ওভারের মধ্যেই পৌঁছে যান ৭৮ রানে।
সে তুলনায় দিনের শুরুতে বেশ নড়বড়ে ছিলেন অপর অপরাজিত ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কয়েকবার লেগ বিফোরের জোরালো আবেদন ও একবার স্লিপে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান তিনি। অবশেষে দিনের পঞ্চম ওভারে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নিজের উপস্থিতি জানান দেন মাহমুদউল্লাহ।
তার এই বাউন্ডারিতেই পূরণ হয় দুজনের শতরানের জুটি। ৬৮তম ওভারে দলীয় ১৯০ রানের মাথায় মুশফিকুর রহিমের বিদায়ের পর দুজন মিলে জুটি বাঁধেন। ১৬৬ বল খেলেই নিজেদের জুটিতে শতরান করে ফেলেন সাকিব ও রিয়াদ।
দিনের সপ্তম ওভারে সাকিব ফিরে গেলেও এক প্রান্ত ধরে খেলছেন রিয়াদ। সাকিবের চেয়ে তুলনামূলক ধীর খেললেও ৮৮ বলে ৪ চারের মারে দিনের এগারতম ওভারে নিজের ফিফটি তুলে নিয়েছেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তিনি খেলেছিলেন ১০১ রানের অপরাজিত ইনিংস।
সে ফর্ম বজায় রাখলেন চলতি টেস্টেও। মাহমুদউল্লাহর ব্যাটের নির্ভরতাতেই মূলত বড় সংগ্রহের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ। রিয়াদের সাথে তালে তাল মিলিয়ে চলছেন লিটনও। মাত্র ৫০ বলেই তুলে নিয়েছেন নিজের ফিফটি।