১০-১৫ দিনের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতির নির্দেশ ভারতীয় সেনাবাহিনীকে
প্রতিপক্ষের মোকাবিলার জন্য প্রচুর পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র, কল–কব্জা, প্ল্যাটফর্ম এবং গোলা–বারুদ কিনতে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। গোটা বিষয়টির তদারকির দায়িত্ব বর্তানো হয়েছে সেনাবাহিনীর সহ-প্রধানের ওপর। অস্ত্রশস্ত্র ও সাজ সরঞ্জাম কিনতে কোটি কোটি টাকা খরচ পড়বে। কেন্দ্র সরকারই সমস্ত খরচ বহন করবে বলে আশ্বাস মিলেছে।
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে জম্মু–কাশ্মীরে সেনার উরি ব্রিগেডের সদর দপ্তরে হামলা চালায় একদল অস্ত্রধারী। তাতে নিহত হন ১৯ জওয়ান। গোলা–বারুদ, ট্যাঙ্ক, ফিউজ এবং অস্ত্রশস্ত্রে ঘাটতি থাকায়, সেবার সময়মতো হামলার মোকাবিলা করে উঠতে পারেনি সেনাবাহিনী। গুদামে মজুত অস্ত্রশস্ত্রের দেখভালেও ঘাটতি ছিল।
ভারত দাবি করেছে, হামলার প্রতিশোধ নিতে দিন কয়েক পর পাকিস্তান–অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। তখন থেকেই অস্ত্রশস্ত্র বাড়ানো নিয়ে আলোচনা চলছিল। ২০১৭ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে মোট ৪৬ ধরনের অস্ত্রশস্ত্র, পদাতিক বাহিনীর মতো ১০ ধরনের প্ল্যাটফর্মের কল–কব্জা এবং প্রায় আধ ডজন মাইন কেনা হবে বলে স্থির হয়। কিন্তু আর্থিক সঙ্কটের জেরে মাঝপথে আটকে যায় সেই প্রক্রিয়া। তবে এবার ভারত সরকারের অনুমোদন মিলেছে। তাই জরুরি প্রয়োজন দেখিয়ে দ্রুত সেগুলি হাতে পাওয়া যাবে বলে আশা করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে সেনাবাহিনীকে ঢেলে সাজানো প্রয়োজন। তার জন্য প্রায় ৪০,০০০ কোটি রুপি খরচ পড়বে। তাই আপাতত ঘাটতি পূরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কেন্দ্র সরকারের সামনে আরো একটি প্রস্তাব রেখেছে সেনাবাহিনী। তাতে ২০ ধরনের রণসজ্জা এভং ৬ ধরনের মাইন কিনতে অনুমতি চাওয়া হয়েছে।