স্বামীকে বাঁচাতে ঠেলায় হকারী করতে নেমেছিলেন, আজ তিনিই অন্যের ‘বিপদতারিনী’
এক সময় শিশুদের পড়াতেন। তাই তার মধ্যে শিক্ষকসত্তা এখনও সদা জাগ্রত। ভারতের গুরগাঁও-র সেক্টর ১৪-তে গুলাব রেস্তোরাঁ-র ঠিক বিপরীতে একটি ঠেলায় ছোলে-কুলচা বিক্রি করেন ঊর্বশী। সাবেক সেনাকর্মীর পুত্রবধূ এবং একদা বড় চাকুরে অমিতের স্ত্রীর পরিচয় নিয়েই তিনি এই পেশা বেছে নিয়েছেন। এর জন্য তাকে বহুবার হেনস্থাও
হতে হয়েছে। তবুও লেগে থেকেছেন। বিমুদ্রাকরণের মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে। এর মাঝে বহু মানুষ নগদ সমস্যায় পড়েন। যেমনটা পড়েছেন ঊর্বশী-ও।ডিজিটাল লেনদেন তার পক্ষে করা বিশেষ কঠিন ছিল না। কিন্তু একলা এগিয়ে না গিয়ে, সকলকে এক সঙ্গে নিয়ে এগোনোর পক্ষে ছিলেন ঊর্বশী। তাই শুধুমাত্র নিজের মোবাইলেই পেটিএম অ্যাপ ডাউননলোড করেননি, আশপাশে খাবার এবং অন্যান্য সামগ্রি বিক্রি করতে আসা বহু মানুষকে এর সহজপাঠ দিয়েছেন উর্বশী। ব্যবসার মন্দার সময়ে এই পাঠ সাধারণ মানুষদের নতুন করে রোজগার বাড়াতে সাহায্য করেছেন। সে দিক থেকে দেখলে, ঊর্বশী-কে এদের বিপদতারিনীও বলা চলে।
পথ এখন যতটা সহজ, মসৃন ততটা ছিল না। স্বামী অমিত হঠাত্ অসুস্থ হয়ে পড়ায় চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন। দুই সন্তান নিয়ে তখন অথৈ সাগরে ভাসছেন ঊর্বশী। তিনি বুঝেছিলেন, এমন কিছু করতে হবে যাতে সন্তান এবং সংসার সামলেও টাকা রোজগার করা যায়। এক দিন হঠাত্ তার নজরে রাস্তার পাশের একটি খাবারের ঠেলায় পড়ে। তখনই ঠিক করেন, খাবারই বিক্রি করবেন তিনি। বিলাসব্যসনে থাকা সুখী পরিবারের বধূর পক্ষে হঠাত্ করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে খাবার বিক্রি করা সহজ নয় তা যে কেউ এক কথায় স্বীকার করবেন।
সেই কঠিন কাজকে সহজ করতে সাহায্য করেছেন এক সাংবাদিক-ব্লগার সোনালি। গোটা ঘটনাটি নিজের ফেসবুক পেজে লেখেন তিনি। তার পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। এখন স্বামী অমিতও ঊর্বশী-কে সাহায্য করেন। ইন্ডিয়া টাইমস।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট বলেছিলেন, ‘নারীরা অনেকটা টি-ব্যাগের মতো… আপনি জানতেও পারবেন তিনি কতটা শক্তিশালী যত ক্ষণ না তাকে গরম জলে ফেলা হচ্ছে।’ কথাটি একদম সত্যি। তার কথার প্রতি সুবিচার করছেন গুরগাঁও-র বাসিন্দা ঊর্বশী যাদব। অসুস্থ স্বামী এবং দুই সন্তানের পরিবারকে একার হাতে সামলাচ্ছেন তিনি। এক সময় শিশুদের পড়াতেন। তাই তার মধ্যে শিক্ষকসত্তা এখনও সদা জাগ্রত। ভারতের গুরগাঁও-র সেক্টর ১৪-তে গুলাব রেস্তোরাঁ-র ঠিক বিপরীতে একটি ঠেলায় ছোলে-কুলচা বিক্রি করেন ঊর্বশী। সাবেক সেনাকর্মীর পুত্রবধূ এবং একদা বড় চাকুরে অমিতের স্ত্রীর পরিচয় নিয়েই তিনি এই পেশা বেছে নিয়েছেন। এর জন্য তাকে বহুবার হেনস্থাও হতে হয়েছে। তবুও লেগে থেকেছেন।
বিমুদ্রাকরণের মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে। এর মাঝে বহু মানুষ নগদ সমস্যায় পড়েন। যেমনটা পড়েছেন ঊর্বশী-ও। ডিজিটাল লেনদেন তার পক্ষে করা বিশেষ কঠিন ছিল না। কিন্তু একলা এগিয়ে না গিয়ে, সকলকে এক সঙ্গে নিয়ে এগোনোর পক্ষে ছিলেন ঊর্বশী। তাই শুধুমাত্র নিজের মোবাইলেই পেটিএম অ্যাপ ডাউননলোড করেননি, আশপাশে খাবার এবং অন্যান্য সামগ্রি বিক্রি করতে আসা বহু মানুষকে এর সহজপাঠ দিয়েছেন উর্বশী। ব্যবসার মন্দার সময়ে এই পাঠ সাধারণ মানুষদের নতুন করে রোজগার বাড়াতে সাহায্য করেছেন। সে দিক থেকে দেখলে, ঊর্বশী-কে এদের বিপদতারিনীও বলা চলে। পথ এখন যতটা সহজ, মসৃন ততটা ছিল না। স্বামী অমিত হঠাত্ অসুস্থ হয়ে পড়ায় চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন। দুই সন্তান নিয়ে তখন অথৈ সাগরে ভাসছেন ঊর্বশী।
তিনি বুঝেছিলেন, এমন কিছু করতে হবে যাতে সন্তান এবং সংসার সামলেও টাকা রোজগার করা যায়। এক দিন হঠাত্ তার নজরে রাস্তার পাশের একটি খাবারের ঠেলায় পড়ে। তখনই ঠিক করেন, খাবারই বিক্রি করবেন তিনি। বিলাসব্যসনে থাকা সুখী পরিবারের বধূর পক্ষে হঠাত্ করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে খাবার বিক্রি করা সহজ নয় তা যে কেউ এক কথায় স্বীকার করবেন। সেই কঠিন কাজকে সহজ করতে সাহায্য করেছেন এক সাংবাদিক-ব্লগার সোনালি। গোটা ঘটনাটি নিজের ফেসবুক পেজে লেখেন তিনি। তার পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। এখন স্বামী অমিতও ঊর্বশী-কে সাহায্য করেন।