যে দ্বীপে মেয়েদের পা রাখা নিষেধ
তবে ওই দ্বীপে পা রাখার আগে পুরুষদের জামাকাপড় খুলে রাখতে হয়, বিশেষ পদ্ধতিতে নিজেদের শুদ্ধ ও পরিচ্ছন্ন করে নিতে হয়।
দ্বীপ ছেড়ে যাওয়ার সময় সেখান থেকে তাদের কোনও স্মারক নিয়ে যাওয়ারও অনুমতি দেওয়া হয় না। এমন কী ওই দ্বীপে যাওয়ার পর কী ঘটেছে, সেটাও তারা অন্য কাউকে বলতে পারেন না।
তবে ‘জাপান টাইমস’ পত্রিকা বলছে, উপাসনালয়টি নির্মাণের অনেক আগে থেকেই সমুদ্রগামী জাহাজের নিরাপত্তার জন্য ও কোরিয়া ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য সেখানে প্রার্থনা করার চল ছিল। বিদেশ থেকে আনা হাজার হাজার শিল্পসামগ্রী ওই দ্বীপ থেকে পাওয়া গেছে। কোরিয়া উপদ্বীপ থেকে আনা বহু সোনার আংটিও তার মধ্যে ছিল।
প্রতি বছর মাত্র একটি দিন – ২৭ মে – ওই দ্বীপে দর্শনার্থীরা আসতে পারেন। তবে দর্শনার্থীদের সব প্রাচীন রীতিনীতি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হয়। দর্শনার্থীর মোট সংখ্যাও কিছুতেই ২০০ ছাড়াতে পারবে না। তবে সবচেয়ে বিতর্কিত যে বিষয়টি, তা হল তাদের সবাইকে পুরুষই হতে হবে!