ক্ষমতা হারাতে পারেন ট্রাম্প, অভিশংসনে কংগ্রেসে বিল
মার্কিন ধনকুব ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা এই মানসিক অসুস্থতার অভিযোগ যদি প্রমাণ হয় তাহলে হোয়াইট হাউস থেকে বিদায় নিতে হবে তাকে। কংগ্রেসে বহুল আলোচিত এই বিলটি উপস্থাপন করেন ডেমোক্র্যাট দলের সদস্য জেমি রাসকিন। বিলটির প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মানসিক সুস্থতা এবং সক্ষমতা যাচাই করতে ১১ সদস্যের প্যানেলও গঠিত হয়েছে।
ট্রাম্পের সুস্থতা যাচাইয়ের কমিটিতে থাকবেন চিকিৎসক ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। বিশেষজ্ঞ প্যানেলে আরো থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত উচ্চপদস্থ দুই কর্মকর্তাও। শোনা যাচ্ছে, দুই সদস্যের দলে থাকবেন সাবেক কোনো প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট অথবা অ্যাটর্নি জেনারেল। প্যানেলের সদস্যরা পরীক্ষা করবেন ট্রাম্প মানসিকভাবে কতোটা সক্ষম।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ২৫ তম সংশোধনীকে সামনে রেখে প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্পের শারীরিক অসুস্থতা প্রমাণ করতে চান ডেমোক্র্যাট দলীয় সদস্যরা। বিলটির উপস্থাপক রাসকিন বলছেন, এই পদক্ষেপে ২৫তম সংশোধনী আইনি সহায়ক হতে পারে। ১৯৬৭ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জনএফ কেনেডিকে হত্যার পরই মূলত সংশোধনীটি পাশ হয়েছিল। কোন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব পালনে অযোগ্য হলে কি করা যেতে পারে সেটিই সংযুক্ত করা হয়েছিল মূলত সেই সংশোধনীতে।
সিএনএন বলছে, গত বৃহস্পতিবার রাসকিনের আনিত প্রস্তাবে অন্তত কংগ্রেসের ১২ জন ডেমোক্র্যাট সদস্য সাক্ষর করেন। যদি কংগ্রেসের অধিকাংশ সদস্য বিলটিতে সমর্থন দেন তাহলে নতুন করে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পাবেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট। আবার বিলটি যদি পাসও হয় তাহলে এর বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগও থাকবে ট্রাম্পের।
এর আগে গত বছর মার্কিন নির্বাচনের আগ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত তিন মনোবিজ্ঞানী ট্রাম্পের অসুস্থতার কথা জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরেও হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল ও ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একদল অধ্যাপক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিকিৎসা ও মনোরোগ মূল্যায়নের আহ্বানও জানান।