এবার ভিসা খুলছে কুয়েতের!! খরচও একদম কম
খবরে বলা হয়েছে, বেশ কিছু দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য একটি পরিকল্পনা করেছে কুয়েত। বিশেষ করে যেসব দেশ থেকে কম পারিশ্রমিকের শ্রমিক নেয়া হয় সেখানে সেই দেশগুলোকে এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। ওই দেশগুলোর দূতাবাসের সঙ্গে কুয়েতের কেন্দ্রীয় ডাটাবেজের সংযোগ থাকবে। এর মাধ্যমে অবৈধ কোন পন্থা অবলম্বন করে কুয়েতে প্রবেশ বন্ধ করা হবে। প্রাথমিকভাবে এ পরিকল্পনায় আনা হবে আরব ও এশিয়ার কিছু দেশকে। এর মধ্যে থাকবে মিশর, সিরিয়া ও লেবানন। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হওয়ার কথা আগামী বছরে। তখন প্রথম দিকে এর সুবিধা পাবে ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও শ্রীলঙ্কা।
পরিকল্পনা পূর্ণাঙ্গরূপে বাস্তবায়ন হওয়ার পর বাংলাদেশ থেকে নতুন করে শ্রমিক নেয়া শুরু হবে। গালফ নিউজের সহযোগী সম্পাদক জুমানা আল তামিমি তার রিপোর্টে লিখেছেন, এই পরিকল্পনা নিয়ে গত সপ্তাহে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেন। তারা বলেছেন, তাদের এ পরিকল্পনা আগামী বছর কার্যকর হবে।
নতুন এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে ১৬ লাখ ৯৭ হাজার কুয়েতি দিনার খরচ হবে। তারপরও কুয়েত চায় সেদেশে যেন নির্ভেজাল শ্রমিকের প্রবেশ ঘটে। যদি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয় তাহলে যারা সন্ত্রাসী অথবা যাদের নামে ফৌজদারি মামলা আছে তাদেরকে আটকে দেয়া সহজ হবে। অর্থাৎ তারা কুয়েতে যাওয়ার আগেই ধরা পড়ে যাবে। এমন সব শ্রমিকের জন্য কুয়েত সরকার বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে। নতুন এই পরিকল্পনায় কম পারিশ্রমিকে যেসব দেশের শ্রমিক আমদানি করে কুয়েত তেমন দেশের ১০টি দূতাবাসে ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন বসানো হবে। এই মেশিন কুয়েতে কেন্দ্রীয় ডাটাবেজের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। ফলে কোন রকম ভুয়া পাসপোর্ট বা নিজের ছবির স্থানে অন্যের ছবি লাগিয়ে কুয়েতে প্রবেশ করতে কেউ চেষ্টা করলে ধরা পড়ে যাবে।
কুয়েতের সাংবাদিক মানসুর আল শামারি বলেছেন, নতুন এই ব্যবস্থা চালু হলে যেসব দেশ থেকে শ্রমিক আমদানি করা হবে সেসব দেশ থেকেই শ্রমিকের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়া হবে এবং চেক করা হবে। তা যদি ঠিক থাকে তাহলে তার ডাটা পাঠিয়ে দেয়া হবে কেন্দ্রীয় ডাটাবেজে। সেখানে আরেক দফা পর্যালোচনা করে তবেই ভিসা ইস্যু করা হবে। আল শামারি বলেছেন, কেন্দ্রীয় ডাটাবেজে এরই মধ্যে ৫ লাখের মতো শ্রমিক ধরা পড়েছেন আইন লঙ্ঘনের দায়ে। তাদেরকে কুয়েতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি।
ওদিকে গত মাসে কুয়েতি মিডিয়ায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল যে, কুয়েতে এখন মোট জনসংখ্যার ৬৯ ভাগ। কিন্তু তাদের শতকরা হার ৪৫ ভাগে কমিয়ে আনতে কুয়েত সরকার নতুন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। ২০১০ সালের এক হিসাব মতে, কুয়েতে বিদেশী শ্রমিকের মোট সংখ্যা ১৩ লাখ ৪০ হাজার, যা মোট জনসংখ্যার ৬৯ ভাগ। এক্ষেত্রে মোট কুয়েতির সংখ্যা ১১ লাখ ২০ হাজার।