হলি আর্টিজানে ভয়ংকর সেই রাতের এক্সক্লুসিভ ভিডিও
খবর পেয়ে জড়ো হতে শুরু করেন পুলিশ, ডিবি ও র্যাবের সদস্যরা। চলে নানা পরিকল্পনা। এদিকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রেস্তোরাঁর গেটের দিকে এগিয়ে গেলে ভেতর থেকে গ্রেনেড ছোঁড়া হয়। এতে আহত হন কর্মকর্তাসহ পুলিশের প্রায় ৫০ সদস্য।
আর সেখানেই মারা যান পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সহকারি কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন আহমেদ। এরপর পুরো এলাকা ঘেরাও করে ফেলেন র্যাব-পুলিশ-বিজিবি সদস্যরা। ছুটে আসেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তবে জিম্মিদের উদ্ধারে অভিযান শুরু হয় ভোরে। র্যাব-পুলিশ-সোয়াত, বিজিবি, সেনা ও নৌবাহিনীর কমান্ডোদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনী অভিযান এ চালায়।
অবশেষে ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালিয়ে ভোরে উদ্ধার করা হয় একজন জাপানিসহ ১৩ জন জিম্মিকে। রেস্টুরেন্টের ভেতরে ৬ জন হামলাকারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে যৌথবাহিনী। এ ঘটনায় নিহত হন ১৭ বিদেশিসহ ২২ জন। এ ঘটনার এক বছর পার হলেও এখনও তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা হয়নি।
তবে মামলার তদন্তে অনেক অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আরো ৫ জঙ্গিকে আটক করতে পারলে পুরো ঘটনা খোলাসা যাবে। শিগগিরই আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।