দেবের সিক্স প্যাকস আর পাঞ্চ বনাম "ইয়েস বস" জিত্, রিয়েল লাইফে জয়ী কে(ভিডিওসহ)
দু'জনের ছবি ইদ উপলক্ষে মুক্তি পেলে আদতে লাভ বাংলারই। কারণটা খুব সোজা, সলমনের ভয়ে মুম্বইয়ে ইদের দিন ছবি রিলিজ করতে সাহস পান না। সলমনের ফ্যান-সমুদ্রে ঘটি ডোবাবেন, এমন পরিচালক আর প্রযোজক দুটোই বিরল। উল্টোদিকে বাংলায় এখনও জিত্ আর দেবের একটা স্টেডি ভিউয়ারশিপ, যাকে বলে বিশ্বস্ত ভক্তকুল তৈরি হয়েছে। এদের মধ্যে যদিও শতকরা নব্বই শতাংশ সলমনের ফ্যান,তবু নিয়ম করে তাঁরা দুই পক্ষের ছবি দেখবেন। উত্সব আঙিনায় এর চেয়ে বড় লক্ষ্মীলাভের সুযোগ কীই বা হতে পারে। যে ধর্মেরই উত্সব হোক না কেন!
এবার দেব আর জিত্ দুজনেরই "উন্নয়ন" হয়েছে. 'চ্যাম্প' দেবের হাতে-তৈরি প্রথম স্বপ্ন। ছবির চেয়েও কিছু বেশি। এ ছবির জন্য প্রথমবার দেব কলম ধরেছেন। প্রথমবার প্রোডাকশনে হাত দিয়েছেন। বান্ধবী রুক্মিণীকে নায়িকার ভূমিকায় রেখেছেন আর বন্ধু রাজের হাতে দায়িত্ব সঁপেছেন। তিন জন মিউজিক ডিরেক্টরকে একত্র করেছেন, জিত্ গাঙ্গুলি, রাফতার আর অনুপম রায়। তিন জনই সেরা তালিকায়। আর সবচেয়ে বড় কথা, দেব এই ছবির মাধ্যমেই আমির ও সলমনের ট্রেন্ড চালু করলেন। একই ছবিতে তাঁর চরিত্র শিবাজিকে দেখা যাবে থলথলে ভুঁড়িওয়ালা চেহারায়, আর তার পরে সুঠাম বলিষ্ঠ বক্সার হিসেবে।
জিতও এবার ইন্দো-বাংলা প্রোডাকশন দিয়েছেন। প্রযোজক হিসেবে টলিউডে তিনি অনেক দিন কাটিয়েছেন। বস-টু তাঁর ইমেজেরই একটি প্রতিচ্ছবি। তিনি খুব বেশি এক্সপেরিমেন্ট যদিও করেননি, তবু বাণিজ্যিক ছবির সব মালমশলাই এখানে উপস্থিত. ব্লেন্ডিংটা দারুণ করেছেন বাবা যাদব। সবচেয়ে বড় কথা, শুভশ্রীর অভিনয়প্রতিভাকে তিনি বার বার ব্যবহার করছেন। এই মুহূর্তে, "জিত্-দা" র সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য নায়িকা তিনি।
শুভশ্রীর রিয়েল লাইফে নানা বিপর্যয় ঘটেছে। পাঠক সে সম্পর্কে অবহিত। এবেলা.ইনে সে খবর আগেই পেয়েছেন আপনারা। কেরিয়ারের শুরু থেকেই দেবের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যথেষ্ট গভীর ছিল, অজ্ঞাত কারণে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। সদ্য ভেঙেছে রাজের সঙ্গে এক নাতিদীর্ঘ সম্পর্কও। বক্সিং রিং-য়ে আসলে রাজ আর দেব দুজনেরই প্রতিপক্ষ শুভশ্রী।
তাই বস-টু যদি ভাল ব্যবসা দেয়, শুভশ্রীর কাছেও সুযোগ আসছে সমুচিত জবাব দেওয়ার।মন ভাঙাগড়ার এই নিষ্ঠুর খেলায় কী জয়ী হবে এক নারীই?