জয় হলো শিক্ষার্থীদের, কোটা সংস্কারের সিদ্ধান্ত সরকারের
সোমবার বিকালে সচিবালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ২০ জনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জান খান কামাল, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা মহানগরের পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
আলোচনা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মে মাসের ১ম সপ্তাহের মধ্যে কোটার সংস্কারের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে। সংস্কারের বিষয়ে কেবিনেট মিটিং হবে, এতে সভাপতিত্ব করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে। কোটা সংস্কারের বিষয়টা ইতিবাচকভাবে নিয়েছে সরকার।’
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসান আল মামুন বলেন, 'আজ পৃথিবীর কোনো দেশে মেধার চেয়ে কোটার সংখ্যা বেশি নয়। কিন্তু বাংলাদেশে ৫৬ শতাংশ কোটা আর ৪৪ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে চাকরিতে নিয়োগ হয়। আমরা আপাততো আন্দোলন থেকে বিরত থাকবো। তবে কোন বিজয় মিছিল হবে না। আলোচনায় মনে হলো- সরকার সংস্কারের বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক। আমরা আশাবাদি গোটা ছাত্রসমাজের দাবি মেনে নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাতে ছাত্র-পুলিশ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষের এক পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসেছিলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি। তিনি বলেছিলেন, 'কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবগত আছেন। প্রধানমন্ত্রী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দিয়েছেন। আগামীকাল মাননীয় মন্ত্রী ও আন্দোলনকারী প্রতিনিধি দল আলোচনার পর সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।' তার কথার প্রেক্ষিতেই আজ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হলো।
আন্দোলনকারীদের ৫ দফা দাবি- সরকারি নিয়োগে কোটার পরিমাণ ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, কোটার যোগ্য প্রার্থী না পেলে শূন্যপদে মেধায় নিয়োগ, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেওয়া, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অভিন্ন বয়সসীমা, নিয়োগ পরীক্ষায় একাধিকবার কোটার সুবিধা ব্যবহার না করা।